স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা অনেক ঝুঁকি নিয়েছেন: প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশ স্বাধীনের জন্য জাতির পিতা অনেক ঝুঁকি নিয়েছেন। তিনি ধীরে সুস্থে কাজ করেছেন। প্রত্যেকটা পদক্ষেপ হিসাব করে নিতেন। ছাত্রলীগ ছিল অগ্রগামী হিসেবে। একটি জাতিকে অসহযোগ আন্দোলন থেকে সশস্ত্র বিপ্লবের দিকে নিয়ে গিয়ে বিজয় অর্জন করা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু তা করেছিলেন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সংগ্রাম শুরু করলেও তিনি জানতেন—বাঙালি জাতি শোষিত-বঞ্চিত, অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন; যাদের নিজস্ব বাসস্থান নেই, খাবারের নিরাপত্তা নেই, চিকিৎসা নেই, শিক্ষা নেই। সম্পূর্ণভাবে অবহেলিত। তার চিন্তা ছিল এই জাতির ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন। জাতিকে গড়ে তুলবেন। এমন একটি দেশ গড়ে তুলবেন যে দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারে। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি রাজনীতি করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।’
স্বাধীনতার জন্য মুক্তি সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজ-উদদৌলাকে কূটচালে লর্ড ক্লাইভ পরাজিত করে এবং বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। ঠিক সেই সূর্য উদিত করার জন্যই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারবার জেল, জুলুম, অত্যাচারিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনি সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। বঞ্চনার হাত থেকে বাঙালিকে মুক্তি দেওয়া, বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বতন্ত্র ভূমি গড়ে তোলা, বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে মর্যাদা দেওয়া—এটাই ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাঙালি জাতি অতি অল্প সময়ে ৬ দফাকে তাদের মুক্তির সনদ হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছিল। ৭০-এর নির্বাচন অনেক দল বর্জন করলেও বঙ্গবন্ধু তা করেননি। তার লক্ষ্য ছিল এই নির্বাচনের মাধ্যমে ৬ দফার প্রতি জনগণের ম্যানডেট নেওয়া। জনগণের মনোভাব জানা। নির্বাচনে মানুষ ৬ দফার পক্ষে রায় দিয়েছিল।’
চিত্রদেশ//এস//