চিত্রদেশ

সৃজিত-মিথিলার বিয়ে সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার:
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সৃজিতের দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেনসের বাড়িতে ভারতীয় বিশেষ বিবাহ আইনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন তারা।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুধু দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।

জীবনের বিশেষ দিনটির জন্য বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি বেছে নিয়েছিলেন মিথিলা। সেই সঙ্গে সেজেছিলেন সোনার গহনা দিয়ে। আর সৃজিত মুখার্জি পরেছিলেন কালো রঙের পাজামা-পাঞ্জাবি ও লাল রঙের জহরকোট।

বিয়ের পর দুজনেই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে হাস্যোজ্জ্বল ছবি শেয়ার করেছেন।

বিয়ের ছবিগুলো ভাইরাল হবার পর থেকেই দুজনের ভক্ত শুভাকাঙ্ক্ষিরা শুভকামনা জানিয়ে পোস্ট শেয়ার করছেন। এছাড়া সুন্দর সুন্দর মন্তব্যে ভরিয়ে দিচ্ছে তাদের ফেসবুকের কমেন্ট বক্স।

এদিকে মিথিলা জানিয়েছেন, শনিবার মধুচন্দ্রিমায় তারা সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন। সেখানে মধুচন্দ্রিমার পাশাপাশি জেনেভায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মিথিলা পিএইচডির রেজিস্ট্রেশন করবেন। সব মিলিয়ে সুইজারল্যান্ডে এক সপ্তাহ থাকবেন তারা।

বিয়ে নিয়ে মিথিলা বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই কথা হচ্ছে। আসলে এগুলো আমরা সবাইকে জানাতে চাইনি। বিষয়টা একেবারেই আমাদের ব্যক্তিগত। সেভাবেই রাখতে চেয়েছি। অনেক আগে থেকে সৃজিতের সঙ্গে আমার পরিচয়। আমাদের দুজনের কয়েকজন কমন বন্ধু আছে। এভাবেই আলাপ, একসময় বিয়ের ব্যাপারটাও সামনে চলে আসে।’

ভালোবেসে ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট সংগীতশিল্পী তাহসান খানের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিথিলা। কিন্তু ২০১৭ সালে ১১ বছরের সংসারের ইতি টানেন এই তারকা দম্পতি। আইরা তেহরীম খান নামে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে।

গুঞ্জন রয়েছে, তাহসান খানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর জন কবির, পরিচালক ফাহমিসহ অনেকের সঙ্গেই জড়িয়েছে মিথিলার নাম। কিন্তু গত দুই বছর ধরে সৃজিতের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন তিনি। কিন্তু সে কথা কখনও স্বীকার করেননি তারা।

এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অনুষ্ঠানে সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে মিথিলার পরিচয় হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় ফেসবুকে কথাবার্তা। এরপর বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। এমনকি বিভিন্ন সময় কলকাতার এই পরিচালকের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও দেখা মিলেছে মিথিলার। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বহুবার বাংলাদেশেও এসেছিলেন সৃজিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিলো তাদের একসঙ্গে কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি। কিন্তু তবুও মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন দু’জনে।

মিথিলা এখন ব্র্যাকে কর্মরত আছেন। তিনি ব্র্যাকের আরলি চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বিভাগের প্রধান।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button