সীমিত হচ্ছে গণপরিবহন চলাচল
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে সীমিত থাকবে গণপরিবহন চলাচল।
সোমবার সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। জনসাধারণকে যত সম্ভব গণপরিবহন পরিহারে পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে গণপরিবহন ব্যবহার করবেন তাদেরকে অবশ্যই করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গাড়িচালক এবং সহকারীদেরকে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লভসপড়াসহ পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
এর আগে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চের সরকারি ছুটি এবং ২৭ থেকে ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এ বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবার জন্য এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে জনসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, তারা যেন এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাইরে না আসেন।’
এ সময় বিভিন্ন অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় কার্যাবলী অনলাইনে সম্পাদন করতে হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি অফিসের মধ্যে যারা প্রয়োজন মনে করবেন তারা অফিস খোলা রাখবেন।’
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৯৯ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন তিনজন। সেলফ ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। তাদের অধিকাংশই বিদেশফেরত।
করোনার বিস্তাররোধে এরই মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। চারটি দেশ ও অঞ্চল ছাড়া সব দেশ থেকেই যাত্রী আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব বিপণিবিতান। এছাড়া মুলতবি করা হয়েছে জামিন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ছাড়া নিম্ন আদালতের বিচারিক কাজ। এমনকি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাকে লকডাউনও ঘোষণা করা হয়েছে।
চিত্রদেশ//এল//