প্রধান সংবাদসারাদেশ

সাগরে ইলিশের আকাল, এক সপ্তাহে মিলেছে ১০ মাছ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
ইলিশের ভরা মৌসুমে অনেক আশা নিয়ে সমুদ্রে গেলেও জেলেরা পর্যাপ্ত মাছ পাচ্ছেন না। সাগর চষে ইতোমধ্যে কয়েকটি ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে শূন্য হাতে। দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধের পর সমুদ্রে বড় সাইজের ইলিশ পাওয়ার স্বপ্ন থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সে মাছ মেলেনি। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন জেলেরা।

গত রোববার রাতে দেড় লাখ টাকা খরচ করে পাথরঘাটা ঘাট থেকে সমুদ্রে যায় এফবি তাওহীদ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। দুই দিন সমুদ্র চষে ইঞ্জিনের নাট ভেঙে আলীপুর ঘাটে এসে ৫৫ হাজার টাকার ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি করেছে। আলীপুর ঘাটে কথা হয় এফবি তাওহীদের মিস্ত্রি ছগির হোসেন গাজীর সাথে। তিনি বলেন, দেড় লাখ টাকার বাজার নিয়ে গেলাম সমুদ্রে। আর মাছ বিক্রি করলাম ৫৫ হাজার টাকার। এই ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে আবার সমুদ্রে যাব?

ট্রলার মালিক মো. আল-আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমার একটি ট্রলার সমুদ্রে আছে। গত সাত দিনে ১০টি ইলিশ পেয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ট্রলার বিক্রি করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
পৌনে দুই লাখ টাকা খরচ করে সাত দিন সমুদ্রে চষে ইঞ্জিনের ত্রুটি নিয়ে ঘাটে ফিরেছে এফবি জিহাদ নামে একটি ট্রলার। ১৬ কেজি ইলিশ, চারটি গোলপাতাসহ সামান্য কিছু টোনা ফিস নিয়ে ঘাটে ফিরে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন।

 

বুধবার দুপুরে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুর আড়তপল্লীতে কথা হয় ট্রলারের মাঝি আ. জলিলের সাথে। চোখে মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে তিনি বলেন, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে বড় আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরে এসে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি। ট্রলারের ১৮ জন জেলের পরিবার কেমনে চলে?

জানা গেছে, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে গত ২৩ জুলাই। ২৪ জুলাই জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেতে পারেনি। এরপর গত ২৭-২৮ জুলাই মাছ ধরার ট্রলারগুলো সমুদ্রে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলারই ইলিশের সন্ধান পায়নি।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো.মিজানুর রহমান বলেন, ‘আড়ত পল্লীর আড়তদাররা তাদের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে বর্তমানে ব্যবসা ঠিক রাখছেন। এখন মাছ না পেলে এলাকা থেকে পালাতে হবে।’

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button