প্রধান সংবাদ

সরকার মোদিকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে না আসার কোনো কারণ নেই। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এটি (ভারত)। সেখান থেকে আরও অনেক অতিথি আসবেন। সবার নিরাপত্তা বিষয়টি আন্তরিকভাবে নেয়া হবে। শিল্পখাত বিকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে সরকার। মোদির সফর ঘিরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিলে সরকার সেটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাখে।’

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই মেলায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (মোদি) অবশ্যই আসবেন, না আসার কোনো কারণ দেখছি না। কোনো ঝামেলা হলে আমরা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। সরকার অবশ্যই পারবে। আমাদের অতিথিদের অবশ্যই আমরা প্রোভাইড ফুল প্রোটেকশান (পূর্ণ নিরাপত্তা) দেব।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে যোগ দিতে ১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংঘটিত দাঙ্গার জের ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল মোদির ঢাকা সফর নিয়ে আপত্তি তুলছে। ইতোমধ্যে কিছু ইসলামি দল ক্ষমতাসীনদের এ বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মোদি ঢাকায় আসবেন। এজন্য তার পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

মোদির ঢাকা সফরে তার যেটুকু প্রাপ্য সেটাই দেওয়া হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাকে আমরা যথাযোগ্য মর্যাদা দেব। ওনার যেটা পাওনা সেটা আমরা দেব। নিশ্চয়ই আমরা সন্মান যা দেওয়ার দেব।’

আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ যোগ করেন মোমেন। মোদির আসন্ন সফরে কী ধরনের চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হলে স্পষ্ট করেননি তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো আস্তে আস্তে জানবেন। আমার মন্ত্রণালয় জানে। এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটি তারা জানে। তারা বলতে পারবে, আমি বলতে পারব না।’

চুক্তির বিষয়টি স্পষ্ট না করলেও কিছু সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘সম্ভাবনা অনেক কিছুতেই। সবার কিছু প্রত্যাশা থাকে, আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক হবে।’

সম্প্রতি ঢাকা সফর করে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। দুই দিনের সফরে এসে বেশ কিছু সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন বাংলাদেশকে খুব কাছ থেকে দেখা ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ভারতের এই হাইকমিশনার।

বাংলাদেশ সফরে এসে শ্রিংলা তিস্তার সম্ভাবনার কথা বলেছেন চলতি বছরের মধ্যেই। আর ঢাকাকে ফেনী নদীর প্রতিদান হিসেবে মোদির সফরে অভিন্ন নদীগুলোর ক্ষেত্রে আশ্বাসের কথা জানিয়ে গেছেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মুজিববর্ষে ঢাকায় আসছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

করোনা ভাইরাস নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের এখানে কোনো আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। যেসব দেশে বেশি আক্রান্ত রয়েছে তাদের আপাতত নিরুৎসাহিত করছি। তবে যে কোনো রাষ্ট্র থেকে আমাদের দেশে আসতে চাইলে অবশ্যই এটা পরীক্ষা করে আসতে বলেছি। আবার দেশে আসার পরও তারা ২ সপ্তাহের অবজারভেশনে থাকছেন। কোনো অস্থিশীল পরিবেশ তৈরি হলে অবশ্যই সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

 

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button