শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারালো কুমিল্লা
স্পোর্টস ডেস্ক:
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। চট্টগ্রামের দেয়া ১৬০ রানের জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৬৯ বলের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটিতে তারা তুলেন ১০৩ রান। কিন্তু এরপরেই নামে ব্যাটিং ধস। তাই দুর্দান্ত শুরুর পরেও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৫৯ রানেই আটকে গেছে নুরুল হাসানের দল।
সিমন্স-জুনায়েদের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা যখন দিশেহারা তখন কুমিল্লার মুখে হাসি ফোটান বোলার সৌম্য সরকার। সিমন্সকে সানজামুলের ক্যাচ বানিয়ে বড় ওপেনিং জুটিটা ভাঙেন ডানহাতি এই পেসার। ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় সিমন্স করেন ৫৪ রান। এরপর তিন বল ব্যবধানে পরের ওভারেই রানআউট হয়ে যান আরেক সেট ব্যাটসম্যান জুনায়েদ। ৩৭ বলে ৬ চারে তিনি তখন হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় (৪৫)। তার পরের ওভারে ফের আঘাত সৌম্যর। এবার তার শিকার রায়ান বার্ল (২)।
ওভারে ওভারে উইকেট হারানোর সেই গতিটা থামেনি তাতেও। ১৫তম ওভারে ৯ রান করে সানজামুলের কাছে উইকেট দেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। এরপর প্রায় একাই দলকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান। মাঝে নুরুল হাসান সোহান (৪), লিয়াম প্লাংকেটরা (৪) সেভাবে সঙ্গ দিতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন জিয়া। ২১ বলে ৪ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।
কুমিল্লার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল সৌম্য সরকার। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় তিনি নেন ২টি উইকেট।
১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালোই চলছিল কুমিল্লার। কিন্তু দলীয় ৩০ রানে ওপেনার ভ্যান জিলের উইকেট তুলে নেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। এরপর রবিকে নিয়ে আগ্রাসি ব্যাটিং করতে থাকেন ডেভিড মালান। কিন্তু সেই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান রানা। ১৭ রান করা রবিকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকারও। ৬ রান করে জিয়াউর রহমানের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটসম্যান।
এরপর সাব্বিরকে নিয়ে রানের চাকা চালাতে থাকেন মালান। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। কিন্তু সেই রানের চাকার সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান রায়ান বার্ল। জুটি ভাঙেন সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে দিয়ে। সাব্বিরের বিদায়ের পর শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। যেখানে পরপর শামিল হন ডেভিড ওয়াইজ এবং অঙ্কন। পরপর দুই উইকেট পতনে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় কুমিল্লা। কিন্তু জয়ের লক্ষ্যে অবিচল থেকে এক রকমে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন মালান। তাকে পূর্ণ সমর্থন দেন আবু হায়দার রনি।
কিন্তু জয়ের ঠিক ক্রান্তিলগ্নে রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মালান। তার বিদায়ে কিছুটা নিরাশ হয়ে পরেছিল কুমিল্লার সমর্থকেরা। কিন্তু সেই নিরাশা দূর করে দেন মুজিব উর রহমান। শেষ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিলো ৩ রান। ব্যাট করতে নেমে ৪ মেরে দলকে ৩ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান।
চিত্রদেশ//এস//