প্রধান সংবাদবইমেলা

শবেবরাতের ছুটিতে জমজমাট বইমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে অমর একুশে বইমেলা । আর তিনদিন পরই পর্দা নামবে প্রাণের বইমেলার। বইপ্রেমীদের মনে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। তবে শেষ সময়ে এসে লোকসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা । তার উপর শবে বরাতের ছুটি। সপ্তাহে বাড়তি একটা ছুটি পেয়ে মেলায় ছুটে আসছেন বইপ্রেমীরা। বিক্রি বাড়ায় খুশি বইয়ের দোকানিরাও।

রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী অমর একুশে বইমেলা। তবে বইয়ের দোকান বেশি হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশেই বেশি ভিড় হয়। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গন। ছেলে থেকে বুড়ো বিভিন্ন মানুষ আসছেন মেলায়। বেশির ভাগের হাতেই ছিল বইয়ের ব্যাগ। অন্যান্য দিনের মতো বেশি ভিড় দেখা যায় মেলার শিশু কর্নার ও স্টলগুলোতে।

মিরপুর থেকে এসেছেন শাহলিনা বেগম ও জামির আহমেদ। প্রতি বছরই বইমেলায় আসেন এ দম্পতি। কিন্তু, দুজনই চাকরিজীবী হওয়ায় ঘোরাঘুরির সময়-সুযোগ বের করা কঠিন। এবারের মেলায় এটাই তাদের প্রথম আসা জানিয়ে এ দম্পতি বলেন, চাকরি-সংসার মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। এদিকে মেলাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বইমেলায় আসতে না পারায় মনের মধ্যে কেমন যেন যেন হাহাকার জেগে উঠেছিল। তাই ভাবলাম, শবে বরাতের এ ছুটিই এবার শেষ সুযোগ। শেষমেশ আসা হলো।’

এই প্রথম বইমেলায় এসেছেন লুবনা। মেলার গেটে যখন প্রবেশ করছিলেন বারবার সেই মুহূর্তকে নিজের মোবাইলে ধারণ করছিলেন। এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, টিভিতে অনেক দেখেছি। পত্রিকায় বইমেলার ফিচার পড়েছি। কিন্তু আজ বাস্তবে সরাসরি এলাম। অনুভূতিটাই অন্যরকম। পুরো মেলায় ঘুরবো, বইও কিনবো। লুবনার প্রিয় লেখক কে জানতে চাইলে কোনও কিছু না ভেবেই উত্তর দিয়ে দেন, হুমায়ূন আহমেদ।

ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। দুপুর ১২টা নাগাদ গেট খুলে দেওয়া হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন বইপ্রেমীরা। ক্রেতা সমাগমে খুশি বই বিক্রেতারাও। শেষ দিকে একে জমে উঠেছে বেচাবিক্রি। ঘুরতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীরাই কিনছেন বই।

আগামী প্রকাশনীর স্টলে গিয়ে কথা হয় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কমবেশি সবাই বই কিনছেন।

প্রথমা প্রকাশনের জ্যেষ্ঠ বিক্রয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেলের কথাতেও বোঝা গেল শেষ দিকে এসে তুলনামূলক বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা আসছেন, তারাই কমবেশি বই কিনছেন। বাছাই করা তালিকা ধরে বই কিনছেন অনেকে।

//এস//

Related Articles

Back to top button