প্রধান সংবাদ

র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমকে শোকজ

স্টাফ রিপোর্টার:
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ও রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তারকে শোকজ করেছেন হাইকোর্ট।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের সত্যায়িত কপি দিতে দেরি করায় মঙ্গলবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ শোকজ করেন।

আগামী ১৬ জানুয়ারির মধ্যে এ শোকজের জবাব দেয়ার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর সারোয়ার আলমকে তলব করেন হাইকোর্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালত এক ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার পর চার মাস পার হলেও আদেশের কপি না দেয়ার ব্যাখ্যা দিতে তাকে ডাকা হয়।

এরপর গত ১ ডিসেম্বর সারোয়ার আলম আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে আর এমনটি হবে না বলে অঙ্গীকার করেন।

একই সঙ্গে ওই রায়ের কপি দিতে বিলম্বের কারণ হিসেবে তিনি আদালতকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের অপ্রতুলতা রয়েছে। তাই এমনটা হয়েছে।

সেদিন সারোয়ার আলম আদালতকে আরও বলেন, একদিনে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে এসে রায় লিখতে হয়। এ কারণে আদেশের কপি সময়মতো দেয়া সম্ভব হয়নি।

তার এমন বক্তব্যের পর প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে মো. সারোয়ার আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

উল্লেখ্য, ১৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের তপু এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পশুখাদ্য প্রস্তুতকরণ কারখানার ব্যবস্থাপক মিজান মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে ওই সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য আদেশের কপি চান। কিন্তু সাজা দেয়ার চার মাস পরও আদেশের কপি দেয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে মো. মিজান মিয়া গত ১৭ নভেম্বর রিটটি করেন।

 

চিত্রদেশ //এস//

Related Articles

Back to top button