প্রধান সংবাদ

রোহিঙ্গা শিবিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি:

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা ও জাতীয় যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সর্বদা প্রস্তুত। দেশের স্বার্ভভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে সেনাবাহিনী।

রোববার সকাল ১০টায় কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে রামু সেনানিবাসের ৬, ৯ ও ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট অর্টিলারি ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ান এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট সমূহকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেন। এসময় সেনা প্রধানের সন্মানে সুশৃংখল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে এসব রেজিমেন্ট রেজিমেন্টাল কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যে কোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সন্মান এবং পবিত্র আমানত।

তিনি বলেন, আমি আশা করছি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কর্মনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত রেজিমেন্ট কালার এর মর্যাদা এবং সেনা নিবাসের প্রতি জাতীর আস্থা অটুট রাখার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে ইউনিট সমূহ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আরো বলেন, সরকার রোহিঙ্গা শিবিরে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিয়েছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে সেনাবাহিনী। প্রথম পর্যায়ে টেকনাফের নয়াপাড়া এবং উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

রামু সেনানিবাসে এ অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধূরী, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ মোহাম্মদ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ রোববার দুপুরে রামু সেনানিবাসের ‘বীরাঙ্গনায়’ প্রীতিভোজে অংশ নেন। বিকাল ৩টায় হেলিকপ্টারে করে রামু ত্যাগ করে ঢাকার উদ্যেশে রওয়ানা হন। আগের দিন শনিবার বিকালে স্ব-পরিবারে রামু সেনানিবাসে আসেন সেনাবাহিনী প্রধান এবং রাতে প্রীতিভোজ শেষে সেনানিবাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি।

 

চিত্রদেশ//এলএইচ//

Related Articles

Back to top button