প্রধান সংবাদবিনোদন

সোমবার পদ্মাসেতুতে বসছে বছরের শেষ স্প্যান

স্টাফ রিপোর্টার:
পদ্মাসেতুতে বছরের শেষ স্প্যান বসছে আগামী সোমবার। এ নিয়ে চলতি বছরই মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সেতুতে মোট ১৪টি স্প্যান বসছে। আর এ মাসেই বসেছে মোট দুটি স্প্যান।

আলোচিত পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। এরপর সেতুটির জন্য সবচেয়ে সফল বছর ২০১৯ সাল। এ বছরই সেখানে একে একে বসেছে মোট ১৩টি স্প্যান। আর সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১৯টি স্প্যানে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মাসেতুর ২৮৫০ মিটার জুড়ে।

আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বসতে যাচ্ছে পদ্মাসেতুর ২০তম স্প্যান। এই স্প্যান বসলে চলতি মাসে সেতুর মোট তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে। দৃশ্যমান হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর তিন কিলোমিটার।

এ সম্পর্কে পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ৩০ ডিসেম্বর সেতুর ২০তম স্প্যান বসানোর শিডিউল রয়েছে। তবে দুই একদিন এদিক সেদিক হতে পারে। এখন প্রতি মাসে তিনটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ শিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।

২০তম স্প্যান হিসেবে ‘৩-এফ’ সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের উপর বসানোর কথা। আবহাওয়া ও কারিগরি কোনো সমস্যা দেখা না দিলে আগামী সোমবারই নতুন স্প্যান বসছে। আর ২০তম স্প্যান বসানোর পর সেতুর মোট তিন কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।

পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যান ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজন। ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে করে প্রতিটি স্প্যান মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে পিলারে বসানো হয়।

পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্র জানিয়েছে, ১৯তম স্প্যান বসানোর ১২ দিনের মাথায় বসছে ২০তম স্প্যানটি।

জানা যায়, পদ্মা নদী এখন অনেকটা শান্ত। ফলে সেতুর কাজে এসেছে ব্যাপক গতি। গেল বর্ষা মৌসুমের চার মাসে বসানো গেছে মাত্র এক স্প্যান। সেখানে গত এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে বসনো হয়েছে তিন স্প্যান।

পদ্মাসেতুতে মোট ৪২ পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুতে দুই হাজার ৯৫৯ রেলওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯১৭ রোডওয়ে স্ল্যাব বসবে। পদ্মাসেতুর মোট ৪১ স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩ স্প্যান। এর মধ্যে ১৮ স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। ৬ দশমিক ১৫ দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button