প্রধান সংবাদলাইফস্টাইল

যে ৫ খাবার নিয়মিত খেলে আয়ু কমে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরও আমরা খাই। কেননা, এগুলো খেতে ভালো লাগে। মুখোরোচক এসব খাবার নিয়মিত খেলে ক্যানসারের মতো ভয়ংকর অসুখে পড়তে পারেন। এতে করে কমে যেতে পারে আপনার আয়ু। জানুন এমনই পাঁচটি খাবার সম্পর্কে।

১. ফাস্টফুড

আমাদের মধ্যে অনেকেই এখন নিয়মিত বিরিয়ানি, কাবাব, রোল, চাউমিনের মতো ফাস্টফুড খেয়ে রসনাতৃপ্ত করেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের শরীরে রোগ বাসা বাঁধে।

 

যেকোনো ফাস্টফুডে থাকে অত্যন্ত ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাটের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হৃৎপিণ্ডের দফরফা করে দেওয়ার কাজে একাই একশো। শুধু তাই নয়, এতে থাকা অত্যধিক লবণ এবং মস1লা, পুরো শরীরেরই হাল বিগড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই ভুলেও নিয়মিত ফাস্টফুড খাবেন না।

 

​২. কোল্ড ড্রিংকস

গরম পড়তেই বেড়েছে কোল্ড ড্রিংকসের বিক্রি। আর সাধারণ জনগণের এহেন ঠান্ডা পানীয় প্রীতি দেখেই চোখ কপালে উঠছে বিশেষজ্ঞদের। তাদের কথায়, এই পানীয়ে রয়েছে মিষ্টি থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষতিকর উপাদানের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত এই পানীয়ে চুমুক দিলে যে আখেরে স্বাস্থ্যের হালই বিগড়ে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য! অতএব গরমের দোহাই দিয়ে নিয়মিত কোল্ড ড্রিংকস খাওয়ার ভুলটা এবার শুধরে নিন।

৩. প্রসেসড ফুডও চলবে না​

হ্যাম, বেকন, সসেজ, কুকিজের মতো প্রসেসড খাবার রোজ খেলে হার্ট, কিডনিসহ দেহের একাধিক অঙ্গের বেজে যেতে পারে বারোটা। এমনকি এইসব খাবারের কারসাজিতে শরীরে বাড়তে পারে প্রদাহের প্রকোপ। আর সেই কারণে দেহে সিঁধ কাটতে পারে ক্যানসারের মতো জটিল অসুখ। তাই আজ থেকেই এইসব মুখোরোচক খাবারের থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিন।

৪. মিষ্টি​

বাঙালিদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিষ্টির যোগ চিরন্তন। কিন্তু তাই বলে আবার রোজ রোজ মিষ্টি খেয়ে রসনাতৃপ্তি সেরে নেওয়ার ভুল করবেন না। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, রোজ রোজ মিষ্টি খেলে আদতে দেহে ইনফ্লামেশনের প্রকোপ বাড়ে। এমনকি এই খাবারের কারসাজিতে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে ওজনও। আর এই দুই কারণেই মূলত কমে যায় আয়ু। তাই হেসে-খেলে জীবন কাটাতে চাইলে রোজ রোজ মিষ্টি খাওয়ার ভুল শুধরে নিন।

৫. সর্বনাশা মদ​

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে মদ। এমনকি এই পানীয়ে নিয়মিত চুমুক দিলে ক্যানসারের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে বৈকি! তাই তো বিশেষজ্ঞরা সকলকে মদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনারা সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবেন।

//এস//

Related Articles

Back to top button