স্বাস্থ্য কথা

যে কারণে শীতে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বাড়ে

স্বাস্থ্য কথা:
ঠান্ডার সঙ্গে যেন ব্যথা পাল্লা দিয়ে বাড়ে। তাপমাত্রা যত নামবে ব্যথার পারদ তত চড়বে। কিন্তু কেন?

শীত উৎসবের ঋতু। বয়স্কদের কাছে শীত ব্যথার ঋতু! এবং এ ব্যথা কী যে ব্যথা বোঝেন তিনিই যিনি আর্থ্রাইটিস, অস্থিসন্ধির ব্যথায় কাবু। সত্যি, কী অদ্ভুত ব্যাপার! ঠান্ডার সঙ্গে যেন ব্যথা পাল্লা দিয়ে বাড়ে। তাপমাত্রা যত নামবে ব্যথার পারদ তত চড়বে। কেন? ডাক্তারদের মতে, তাপমাত্রা কমলে জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে রক্তের তাপমাত্রাও কমে যায়। ফলে গাঁট শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে। ব্যথায় কাহিল বৃদ্ধজন।

শীতে আমাদের হার্টের চারপাশে রক্তও তুলনায় ঠান্ডা হয়ে পড়ে। তাই শরীরকে উষ্ণ রাখতে আমরা এই সময় গরম পোশাক গায়ে দেই। ঠান্ডার জন্যই শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত সঞ্চালনের বেগ কমে যায়। ফলে, ঠান্ডা ত্বকে ব্যথার প্রভাব বেশি অনুভূত হয়। এরই আরেক নাম বাত।

৪০ পেরোলেই সাধারণত আর্থ্রাইটিসে কাবু হন মানুষ এবং বেশি ভোগেন মহিলার। আর হাঁটু যেহেতু শরীরের সমস্ত ওজন বহন করে তাই সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ।

উষ্ণ খাবার না খাবারে উষ্ণতা! সুস্থ থাকতে কোনটি খুঁজবেন শীতে?

তেড়ে ঠান্ডা পড়ার আগে এমন কিছু থাক রোজের খাবারে যা একসঙ্গে শরীরের তাপ ধরে রাখবে। আবার রোগের হাত থেকেও বাঁচাবে।

যারা ব্যথা, অবসাদ, মন খারাপ বা খিটখিটেভাবে কষ্ট পান এই সময় হালকা ব্যায়াম করলে শরীর-মন সব দিক থেকেই ভালো থাকবে।

রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হলে গাঁট বা অস্থিসন্ধির পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ বা পুরো শরীরও অনেক সময় আক্রান্ত হয়। তখন শরীরজুড়ে ব্যথা, ফোলাভাব। বেঁকে যায় হাত-পা। পেশির দুর্বল হয়ে পড়ে। জ্বর হয়।

কেন বয়স্ক মানুষই বেশি ভোগেন এই সমস্যায়? কেননা, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দেয় শরীরে। ফলাফল, হাড়ের ক্ষয়। এছাড়া লিগামেন্টগুলোর দৈর্ঘ্য এবং নমনীয়তাও হ্রাস পায়। যার কারণে জয়েন্টগুলো ফুলে যায়।

কী করলে রেহাই মিলবে এই অসহ্য ব্যথা থেকে?

সকালের নরম রোদে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। তাই শীতে গা সেঁকে নিন সকালের রোদে। প্রচুর ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করলেই কমবে ব্যথা এবং জয়েন্টের ফোলাভাব। রোদের তাপে উষ্ণ হবে শরীর। রক্ত সঞ্চালন হবে দ্রুত। এছাড়াও করুন যোগাসন। নিয়মিত। বিশেষ করে যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারে বসে কাজ করেন। রোগ সারাতে যোগের সত্যিই কোনো বিকল্প নেই।

 

চিত্রদেশ //এস//

Related Articles

Back to top button