প্রযুক্তি

যেভাবে শুরু করবেন ওয়েবসাইটের অনপেজ এসইও

প্রযুক্তি ডেস্ক:

এসইও হলো একটি পদ্ধতি। যে পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানো হয়। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে নির্দিষ্ট এক বা একাধিক কিওয়ার্ড দ্বারা সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটটিকে প্রথমে প্রদর্শন করার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে এসইও।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) নিয়ে কাজ করতে গেলে সবার আগে জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন ও সার্চ রেজাল্ট কী।

সার্চ ইঞ্জিন: সার্চ ইঞ্জিন হলো ওয়েব দুনিয়ায় যেকোনো তথ্য বা ছবি খুঁজে বের করার প্রযুক্তিমাধ্যম। সার্চ ইঞ্জিনগুলো ওয়েবের প্রায় সব ওয়েবসাইটের ইনডেক্সগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে এবং ইউজারের সামনে তা প্রদর্শন করে। সেরা ৫টি সার্চ ইঞ্জিন হলো- গুগল, ইয়াহু, বিং, আস্ক ও বাইডু।

সার্চ রেজাল্ট: ধরুণ আপনি গুগলে সার্চ করলেন- ‘Odhikar News’ এই কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ দেয়ার পর অনেক ওয়েবসাইট চলে আসবে। এটিই হলো সার্চ রেজাল্ট।

এসইওর কাজ সাধারণত তিন ধাপে করা হয়। যেমন-

১. অনপেজ অপ্টিমাইজেশন

২. অফপেজ অপ্টিমাইজেশন

৩. টেকনিক্যাল এসইও

আজকে অনপেজ অপ্টিমাইজেশন নিয়ে আলোচনা করব-

অনপেজ এসইও অপ্টিমাইজেশন বা ওয়েবসাইটের ভেতরে অপ্টিমাইজেশন। যেমন- মেটা টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল, ট্যাগ ও ক্যাপশন যথাযথ ব্যবহার, ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজের মধ্যে ইন্টারনাল লিংকিং ইত্যাদি। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

কিওয়ার্ড রিসার্চ: কিওয়ার্ড হচ্ছে সার্চিং ওয়ার্ড। আপনি যদি কোনো বিষয়ে জানতে চান, জানার জন্য অর্থবোধক যা লিখে গুগলে সার্চ করবেন সেটি হচ্ছে কিওয়ার্ড। কিওয়ার্ড রিসার্চ এসইওর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনেক ফ্রি এবং পেইড টুল পাওয়া যায়।

কিওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে-

১. কান্ট্রি টার্গেটিং

২. সার্চ ভলিউম

৩. কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি ইত্যাদি। ওয়েবসাইট ও কাজের ব্যাপ্তির ওপর নির্ভর করে ফ্রি ও পেইড সার্ভিস গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি: কিওয়ার্ড ডেনসিটি হচ্ছে কিওয়ার্ডের অনুপাত। যেমন- আপনি একটি কন্টেন্ট লিখলেন ১০০ শব্দের। তার মধ্যে আপনি তিনবার কিওয়ার্ড প্রয়োগ করলেন, তা হলে কিওয়ার্ড ডেনসিটি ৩%। মেটা টাইটেল ট্যাগ: মেটা টাইটেল ট্যাগ হচ্ছে একটি ওয়েবপেজের এইচটিএমএল ট্যাগ। আপনি যখন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করেন, তখন সেটি দেখা যায়। মেটা টাইটেল ট্যাগে ব্র্যান্ড কিওয়ার্ড ইউজ করা উচিত।

মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ: মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ হচ্ছে একটি ওয়েবপেজের সামারি এইচটিএমএল ট্যাগ। সামারি দেখে ভিজিটর দ্রুত বুঝতে পারে যে ওয়েবসাইটটি কোন ধরনের কন্টেন্ট দিচ্ছে। মেটা টাইটেল ট্যাগের নিচে থাকে ইউআরএল, তারপর মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ।

এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল: এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল বলতে বুঝায়-

১. ইউআরএলে এ প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?), আন্ডার স্কোর (_), সটার মার্ক (*) ইত্যাদি থাকবে না।

২. ইউআরএল ছোট হবে।

৩. ওয়েবসাইট পোস্টের ইউআরএল স্ট্রাকচার হবে- রুট ডোমেইন+ পোস্ট হেডলাইন। রোবট টেক্সট: রোবট টেক্সটের মাধ্যমে গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের রোবটকে ওয়েবসাইটের কিছু ওয়েবপেজ ইনডেক্স অথবা কিছু ওয়েবপেজ ডি-ইনডেক্স করে রাখতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনি যে ওয়েবপেজগুলোর এক্সেস গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনকে দেবেন, শুধু সেই পেজগুলোতে সার্চ ইঞ্জিনের রোবট যেতে পারবে এবং ইনডেক্সও করতে পারবে।

সাইট ম্যাপ: গুগলকে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার জন্য পোস্টের সাইট ম্যাপ ক্রিয়েট করতে হয়।

ইমেজ অলটার টেক্সট: ওয়েবসাইটের ফটো কন্টেন্টে যথাযথ ইমেজ অলটার টেক্সট ব্যবহার করতে হবে। ইমেজ আপলোড করার ক্ষেত্রে ইমেজের সাইজ ও ফাইল নেইম ঠিক করতে হবে। হাই রেজুলেশনের ইমেজ ব্যবহার করা ভালো।

ফেভিকন: ওয়েবসাইটের জন্য ইউনিক ফেভিকন ক্রিয়েট করতে হবে, যা আপনার ব্র্যান্ডের ভেলু বাড়াবে। ফেভিকন সাইজ ১৬ পিক্সেল বাই ১৬ পিক্সেল দিতে পারেন।

ফ্ল্যাশ ফাইল: সাইটে কোনো ধরনের ফ্ল্যাশ ফাইল ব্যবহার না করাই ভালো। ফ্ল্যাশ ফাইলের পরিবর্তে জিফ ফাইল ব্যবহার করতে পারেন।

ইন্টারনাল লিংক: এক কন্টেন্ট থেকে অন্য কন্টেন্টে লিংক করাটাই হচ্ছে ইন্টারনাল লিংক। ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

১. ইন্টারনাল লিংক যাতে সিমিলার কন্টেন্ট অথবা কিওয়ার্ডের সাথে করা হয়।

২. সাধারণত কন্টেন্টের শেষের দিকে ইন্টারনাল লিংক করলে ভালো। এতে কন্টেন্ট পড়ার সময় পাঠকের মনোযোগ ঠিক থাকে।

ব্রোকেন লিংক: যে লিংকে গেলে কন্টেন্ট খুঁজে পাওয়া যায় না সেটায় ব্রোকেন লিংক। সাইটে কোনোভাবেই ব্রোকেন লিংক রাখা যাবে না। সাইট থেকে ব্রোকেন লিংক রিমুভ করতে হবে।

ডেড লিংক: যে লিংকে গেলে কোনো কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না সেটি ডেড লিংক। সাইটে ডেড লিংক কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এইচ-১ ট্যাগ: এইচ-১ ট্যাগ হচ্ছে একটি এইচটিএমএল ট্যাগ। কিওয়ার্ড অনুযায়ী সাইটে এইচ-১ ট্যাগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।

এইচটিএমএল পেজ সাইজ: যতদূর সম্ভব এইচটিএমএল পেজ সাইজ কমাতে হবে, এতে করে সাইটের লোডিং টাইম ফার্স্ট হবে। ইউজার অ্যাঙ্গেজমেন্ট বাড়বে।

বিনিয়োগ বার্তা//এল//

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button