মেহেবুব হকের কবিতা ‘আশ্চর্য আলো’
আমি বাঁধনহারা পৃথিবীর মস্তবড় গোলকধাঁধায় বহুকাল মত্ত আছি
যৌবনের উত্তাল ঢেউয়ে কামনা বাসনার প্রমত্তা সাগরে ডুবে আছি
মগ্ন আছি লোভ লালসার আস্তাকুড়ে, অর্থ সম্পদে বিত্ত বৈভবে
বিভোর আছি নশ্বর দুনিয়া ভোগ করার অজস্র কাল্পনিক স্বপ্নে
যদিও নিশ্চিত জানি
আমার সবটুকু অস্তিত্ব একদিন ধুয়ে মুছে শেষ হয়ে যাবে
আমি হারিয়ে যাবো চিরতরে মহাকালের গর্ভে
যে মহাকাল কেবল মানুষের মহৎ কর্মকেই ধারণ করে
গচ্ছিত রাখে মানুষের পুণ্যের অফুরন্ত ভাণ্ডার
গড়ে তোলে মানুষের সাধনা ও কর্মের মহাসূতিকাগার
তিল তিল করে দৃশ্যমান হয় মানুষের আদর্শ, নিষ্ঠা ও সততার প্রাসাদ
যার ছায়াতলে প্রতিদিন আশ্রয় খোঁজে পথহারা মানুষের দল
খোঁজে পরম মুক্তির আলো
যে আলোর অজস্র ফোয়ারা পাপীকে দিয়েছে অনুতাপের আগুন
জুলুমকারীকে দিয়েছে বিবেক
অত্যাচারীকে দিয়েছে মানবতার পোশাক
এই সেই আশ্চর্য আলো যার সন্ধানে মানুষ
নবী, রাসুল, অলি-আউলিয়া, গাউস ও কুতুবের সাহচর্য নিয়েছে
অন্তরের কালিমা মোচন করে মহান আল্লাহমুখী হয়েছে
যার পরশপাঁথরের ছোঁয়া মানুষকে আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা দিয়েছে চিরকাল ।
তাং-২৮/০৬/২০২০ ইং, ঢাকা ।