মেসেজে মিলবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশন রিপোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার:
পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে অভিযোগ কম নয়। পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভুয়া তদন্তকারী অফিসার সেজে অনেক প্রতারক আবেদনকারীর কাছে ফোন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। এসব হয়রানি ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষের মুক্তির উপায় বের করেছে পুলিশ। এখন থেকে মেসেজে মিলবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশন রিপোর্ট।
পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আবেদনকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তদন্তকারী অফিসারের নাম ও মোবাইল নাম্বার এবং ঢাকা রেঞ্জের একটি সাপোর্ট মোবাইল নাম্বার জেনে যাবেন এসএমএস এর মাধ্যমে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জে এ সংক্রান্ত সেবার যাত্রা শুরু করলো অনলাইন পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশনের (পিপিসি) সফটওয়ারভিত্তিক কার্যক্রম।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও মোবাইল এসএমএস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান Info bip এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির ফলে এখন থেকে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলায় (ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর) পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদনকারীরা তদন্ত কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তদন্তকারী অফিসারের নাম ও মোবাইল নম্বর এবং ঢাকা রেঞ্জের একটি সাপোর্ট মোবাইল নাম্বার জেনে যাবেন এসএমএস এর মাধ্যমে।
একই সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারও জেনে যাবেন তার কাছে তদন্তের জন্য প্রদান করা পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বারসহ অন্য তথ্য। আবেদনকারীরা তার কাছে প্রেরিত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে জানতে পারবেন তার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা।
অপরদিকে তদন্তকারী অফিসার জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে তিনদিন এবং সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেতে পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের এসএমএস এর মাধ্যমে প্রতিবেদন তার পক্ষে বা বিপক্ষে গেছে তা জানানো হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করলে ঢাকা রেঞ্জের মনিটরিং শাখা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য প্রদান করবে সফটওয়ারটি।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান জানান, পাসপোর্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভেরিফিকেশনে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তিন মাসব্যাপী বিভিন্ন সমীক্ষা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সফটওয়ারটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কোনো অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে আবেদনকারীর মোবাইলে পাঠানো ঢাকা রেঞ্জের সাপোর্ট নাম্বারে ফোন করতে পারবেন।
এছাড়া পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভুয়া তদন্তকারী অফিসার সেজে অনেক প্রতারক আবেদনকারীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। এসব হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে।
চিত্রদেশ ডটকম//এলএইচ//