আন্তর্জাতিকপ্রধান সংবাদ

মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করে যে কথা বললেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজা ও পশ্চিমতীরে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট ইসরাইলি হামলার মধ্যেই ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরাইলের হামলাকে আত্মরক্ষা বলে বৈধতা দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে হামলা থামাতে বললেন।

প্রেসিডেন্ট আব্বাসের মুখপাত্র কল পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এ দুই নেতার মধ্যে প্রথম ফোনালাপ।

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার মধ্যে তারা ফোনে কথা বললেন। এর আগে শুক্রবার বাইডেন এ অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করতে বলেন।

হোয়াইট হাউস জানায়, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে বাইডেন বলেছেন— ইসরাইলকে লক্ষ্য করে গাজা থেকে হামাস যেন রকেট হামলা বন্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম আব্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে বাইডেনের। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব জোরদারে নিজের প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামাসের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে কথা বলেননি। ফলে আব্বাসকে করা তার এই ফোনকল কোনো কাজে আসবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ গাজা উপত্যকায় আব্বাসের নিয়ন্ত্রণ খুবই কম। আব্বাস ও তার দল ফাতাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অধিকৃত পশ্চিমতীর। আর গাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস সরকার। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র দেখে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে। হামাস যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছেন, গাজা থেকে হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী পক্ষের রকেট হামলা ঠেকাতে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আর এই অধিকারের প্রতি তার (বাইডেন) একনিষ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন সময় নেতানিয়াহু ও আব্বাসকে ফোন করলেন, যার পর দিন তথা রোববার (বাংলাদেশ সময় সোমবার) ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার লড়াই নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

এদিকে এই সংকটের সমাধানে তেলআবিব পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সম্পর্কবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাদি আমর। হাদির সফর সম্পর্কে ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বলেছে, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবেন তিনি। হাদি সেখানে ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত ৯ মে রাতে আল-আকসায় মসজিদে শবেকদরের (লায়লাতুল কদর) নামাজ আদায় শেষে মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। তাদের ওপর হামলা চালায় ইসরাইলি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এর পর থেকে অব্যাহত হামলায় প্রায় দেড়শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৪০ জনই শিশু।

চিত্রদেশ//এল//

Related Articles

Back to top button