‘মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলবো’
স্টাফ রিপোর্টার:
‘বিশ্বের যেসব দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেসব দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে। দশ বছর আগে আমাদের অর্থনীতির আকার ছিল বিশ্বে ৫৮তম। বর্তমানে আমরা ২৯তম। শিগগিরই আমরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ানের মতো দেশকে পেছনে ফেলবো।’ দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তরুণ সমাজকে বিষয় ভিত্তিক লেখাপড়া করার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয় ভিত্তিক শিক্ষার দিকে এগোতে হবে। সাধারণ লেখাপড়া যেটা আমরা করেছি সেটা ঠিক আছে। আমরা সবাই চাই দেশের উন্নয়ন করব। কিন্তু দেশের উন্নয়ন করতে হলে তো আমাদেরকে আগে শিক্ষিত হতে হবে। এখনকার চাহিদা মেটাতে গেলে যেই ধরনের লেখাপড়া দরকার সে লেখাপড়া যদি আমরা না করতে পারি, শিক্ষিত যদি না হতে পারি, তাহলে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবো না এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলে অর্থনীতির ক্ষেত্রে আমরা হারিয়ে যাব।’
তিনি আরো বলেন, ‘চলতি বছর যেসব দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এমন ২০টি দেশের তালিকা করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ সেই তালিকার অন্যতম। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশই কর্মক্ষম। বিশ্বের আর কোনো দেশ জনমিতিক লভ্যাংশের ক্ষেত্রে এমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য দেশের সব মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় আমি ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু একবার ব্যথা পাওয়ার পর আর খেলা হয়নি। তবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা ছিল তখন থেকেই। এর ধারাবাহিকতায় পরে আবাহনীর ক্রিকেট শাখার দায়িত্ব গ্রহণ করি। ২৫ থেকে ৩০ বছর আমি সে দায়িত্বে ছিলাম। একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পেলাম। কিন্তু সেখানে কিছু নীতিবিরুদ্ধ কাজ আমি মেনে নিতে পারিনি। ক্রিকেটের তথাকথিত মোড়লরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন, যা আমার দেশের ক্রিকেটের স্বার্থবিরোধী। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারিনি, তাই দেশের সম্মান রক্ষায় পদত্যাগ করেছি।’
চিত্রদেশ //এস//