অর্থ-বাণিজ্য

বেড়েছে চাল-তেল-পেঁয়াজের দাম

স্টাফ রিপোর্টার:
কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে বেসামাল অবস্থা চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেড়েছে চাল-তেল-পেঁয়াজসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম।

রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম। এছাড়া চাল, আটা, ময়দা, রসুন ও ডালের দামও বেড়ে গেছে।

পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গত শুক্রবার ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এর সঙ্গে বেড়েছে রসুনের দাম। আমদানি করা রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত শুক্রবার ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ছিল। একইভাবে বাজারে মসুর ডালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে।

চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম গত তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে আরো ১ থেকে ২ টাকা বেড়ে গেছে। দাম বেড়ে চিকন চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, যা দুই দিন আগেও ৬০ থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। গরিবের মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে।

চাল ও পেঁয়াজের সঙ্গে ক্রেতাদের বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে সয়াবিন ও পাম তেলের জন্য। লুজ সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত শুক্রবার ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকার মধ্যে। আর পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা আগে ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল।

দাম বেড়েছে আটা ও ময়দারও। ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক প্যাকেট আটার দাম বেড়ে এখন ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে।

শান্তিনগর বাজারে মঈন মোশাররফ নামের একজন ক্রেতা বলেন, করোনার মধ্যে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম কমাতে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। বাজার মনিটরিং জোরদার করা উচিত ছিল। সেটা হয়নি। বরং আমাদের অল্প টাকা মধ্যে থেকে বড় অংশ বাজারে লুট হচ্ছে। পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, বোরো নতুন চাল বাজারে আসার পরেও চালের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। নতুন চালের দাম কিছুটা কম হলেও পুরনো চালের দাম বেশি। ধানের দাম বেশি বলে চালের দাম কমছে না।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফিরোজ হোসেন ও মনিরুল ইসলাম জানান, আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) শেষ হয়ে যাওয়ায় এক মাসের বেশি সময় ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। একদিকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম। মূলত এজন্য বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

তেলের দাম প্রসঙ্গে পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো জানান, ঈদের পর থেকেই ভোজ্যতেলের দাম ওঠানামা করছে। আগামী দুই মাসে এই পরিস্থিতি চলমান থাকবে।

চিত্রদেশ//এল//

Related Articles

Back to top button