অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালুর সিদ্ধান্ত

বেনাপোল প্রতিনিধি

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকালে নোম্যানসল্যান্ডে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জানা যায়, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাকের জট কমাতে দুই দেশের চেকপোস্টের নোম্যানসল্যান্ডে ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্য লোড-আনলোডের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন।

তবে প্রশাসনের সবার সঙ্গে কথা বলে চালু করা হবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতিপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্য দিয়ে ভারত রফতানি শুরু করবে। পরে অন্যান্য পণ্য আমদানি-রফতানি হবে।

ভারতের পক্ষে পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ও বনগাঁ আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি চালু করতে পারছে না পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে বনগাঁ পৌরসভার কালীতলা পার্কিং পর্যন্ত ২২১৪ পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।

তিনি জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মতপার্থক্যের জন্য আগের মতো বাণিজ্য চালু করা যাচ্ছে না। ফলে পাটবীজসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য ও শিল্প কলকারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল আটকে পড়েছে। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

একই সঙ্গে দুই দেশের প্রায় ৩০-৪০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। আমদানি-রফতানি চালু হলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক হ্যান্ডগ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবানপানির ব্যবস্থা থাকবে এন্ট্রি পয়েন্টে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য ভারত সরকার দফায় দফায় লকডাউন বৃদ্ধি করায় আমদানি-রফতানি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

লকডাউন ঘোষণার পর গত ২৩ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সবপ্রকার আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ট্রাকচালকরা বাংলাদেশে গেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখবে পেট্রাপোল পুলিশ।

তাই ভারতীয় ট্রাক নোম্যানসল্যান্ড পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশি ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা সেখান থেকে মালামাল লোড-আনলোড করে নেবেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, অতিপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্য দিয়ে রফতানি শুরু হবে। পরে অন্যান্য পণ্য রফতানি হবে। পরিস্থিতি ভালো হলে আগের মতো কাজ শুরু হয়ে যাবে।

বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার আবদুল ওয়াহাব বলেন, নোম্যানসল্যান্ড ব্যবহার করতে হলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। আমরা কথা বলার পর আপনারা কাজ করতে পারবেন।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ভারত যদি পণ্য রফতানি করে; সেই পণ্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা যদি নোম্যানসল্যান্ড থেকে গ্রহণ করে তা হলে বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button