অপরাধ ও আইনপ্রধান সংবাদ

বিকাশে লিঙ্কের ফাঁদ, পা দিলেই সর্বনাশ

স্টাফ রিপোর্টার:
মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতা বিকাশের এজেন্টদের প্রথমে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হতো। তারপর বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহককে ফোন দিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলা হতো অথবা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিঙ্ক পাঠানো হতো। গ্রাহকরা সেই কোডে ডায়াল করলেই বা লিঙ্কে ক্লিক করলেই তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে যেতে প্রতারকদের হাতে।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুরে র‍্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে মিরপুর-১ এর ১৯ নম্বর রোডের ৩৩ নাম্বার বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইসসহ মোবাইল জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিগন্যাল বুস্টার, তিনটি মডেম, বিপুল পরিমাণ সিমকার্ড ও অন্যান্য সরঞ্জামা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল র‍্যাবকে জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ প্রতারণার কাজে জড়িত। প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এখন পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব বলেছে, সোহেল তার চক্রের আরও ৪/৫ জনের নাম বলেছেন। তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে এখন বলা যাবে না। আমরা অতি শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো।

কিভাবে তারা প্রতারণা করতেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রকিবুল হাসান বলেন, কোনো গ্রাহক যদি মোটা অংকের টাকা লেনদেন করতেন, তাহলে সেই নম্বর ও তথ্য এজেন্টরা চক্রটিকে জানিয়ে দিতেন। তখন তারা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নম্বর ক্লোন করে কল দিয়ে বলতেন- আমি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিস থেকে বলছি, আপনি যেই টাকা পাঠিয়েছেন বা এসেছে, সেই টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এমন সব ভুয়া কৌশল অবলম্বন করে গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলতেন অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিঙ্ক পাঠাতো। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিঙ্কে ক্লিক করলেই প্রতারক চক্র টাকা নিয়ে নিতে পারতেন।

গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button