বইমেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার:
অমর একুশে বইমেলায় অভ্যন্তরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মেলার প্রকাশক ও দর্শনার্থীদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১৯ নভেম্বর) মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জরিমানা করা হয়।
মেলা শুরুর আগের দিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়, এবার মেলায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নিতে হবে দর্শনার্থী ও বিক্রয় কর্মীদের। কেউ তা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু মেলার প্রথম চার দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে না দেখা যায়নি বাংলা একাডেমিকে। তবে আজ পঞ্চম দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, আজ মেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তারা অনেককে জরিমানা করেছে।
জানা গেছে, মেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দর্শনার্থী রায়হান হোসেন ও নাফিসা তারান্নুম নামের দুই তরুণ-তরুণীকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের জরিমানা করা হয়। এছাড়া মো. নাঈম এবং ফারজানা চৌধুরী নামের দুই জনকেও একই অপরাধে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
মো. নাঈম বলেন, আসলে আমাদের মাস্কে আছে। কিন্তু ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলে পকেটে রেখেছিলাম।
মেলায় দর্শনার্থীদের পাশাপাশি একজন প্রকাশককেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাংলা প্রকাশের বিপণন ব্যবস্থাপক নূরন্নবী চৌধুরীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আরেকজন প্রকাশককে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
বইমেলার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকার। তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করতেই এ অভিযান। ছুটির দিন হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বইমেলায় অনেকেই আসছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বইমেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরেই ঢুকছেন। কিন্তু ভেতরে ঢোকার পর কেউ কেউ মাস্ক খুলে পকেটে রাখছেন, পকেটে রাখছেন। তাই অপরাধ বুঝে দণ্ড দেওয়া হচ্ছে। যেসব প্রকাশনা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা চালাতে দেখা গেছে একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে।
তিনিবলেন, মানুষকে সচেতন করতে আমরা কাজ করছি। তারপরও কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
চিত্রদেশ//এফটি//