অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

ফের বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে পতন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম শুক্রবার ১ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) চলতি বছরে আরেক দফা সুদের হার কমাবে কি না—এ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এমন পতন দেখা গেছে। তবে টানা তৃতীয় মাসের মতো দাম বাড়ার ধারায় রয়েছে মূল্যবান এই ধাতু।

শুক্রবার মার্কিন সময় দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম দাঁড়ায় প্রতি আউন্স ৪,০০১.৭৪ ডলার, যা ০.৬ শতাংশ কম। মাসজুড়ে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩.৭ শতাংশ। ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ড ফিউচারসের দাম ০.৫ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৩,৯৯৬.৫ ডলারে স্থির হয়।ডলার সূচক (.DXY) তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানের কাছাকাছি রয়েছে, ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের জন্য স্বর্ণের দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে পড়েছে।

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব ক্লিভল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বেথ হ্যাম্যাক শুক্রবার বলেন, তিনি সুদের হার কমানোর বিরোধিতা করেছেন। তার মতে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেডের কিছুটা কড়াকড়ি বজায় রাখা প্রয়োজন।

স্বাধীন স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাই ওয়াং বলেন, হ্যাম্যাক হচ্ছেন ফেডের তৃতীয় আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট, যিনি অতিরিক্ত সুদহার কমানোর বিরোধিতা করেছেন। তার মন্তব্যে বাজার বুঝেছে, তারা হয়তো সুদের হারে অতিরিক্ত আশাবাদী ছিল।

ফেড বুধবার সুদের হার কমালেও চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ‘হকিশ’ মন্তব্যের কারণে বাজারে এখন ডিসেম্বর মাসে আরেক দফা সুদ কমানোর সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ থেকে নেমে ৬৩ শতাংশে ঠেকেছে—এমন তথ্য জানিয়েছে সিএমই ফেডওয়াচ টুল।

সাধারণত সুদের হার বেড়ে গেলে স্বর্ণের আকর্ষণ কমে যায়, কারণ এটি কোনো সুদ আয় করে না। তবু চলতি বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ, যা ২০ অক্টোবর প্রতি আউন্স ৪,৩৮১.২১ ডলারে সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল।

মরগান স্ট্যানলি জানায়, সুদের হার কমানো, ইটিএফে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয় এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা—এসব কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ার সম্ভাবনা এখনো বিদ্যমান। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে প্রতি আউন্স স্বর্ণের গড় দাম ৪,৩০০ ডলার হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার জানান, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে তিনি শুল্ক ৫৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করবেন, বিনিময়ে বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিল বাণিজ্য দমন, মার্কিন সয়াবিন ক্রয় ও রেয়ার আর্থ রপ্তানি অব্যাহত রাখবে।

অন্যদিকে, রুপার দাম ০.৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৪৮.৭৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্লাটিনামের দাম ১.৭ শতাংশ কমে ১,৫৮৩.৪১ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০.৪ শতাংশ কমে ১,৪৪০.০২ ডলারে নেমেছে।

Related Articles

Back to top button