প্রধান সংবাদ

ফাগুন হাওয়ায় ভালোবাসার দিন

স্টাফ রিপোর্টার:
ফাল্গুনের প্রথম দিনে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। গাছে গাছে নতুন ফুল, সবুজ কচি পাতা, পাখির সুর, সব মিলিয়ে প্রকৃতি নতুন সাজে মুখরিত। শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার বর্ণিল আভা। গেল বছর থেকেই হাত ধরাধরি করে আসছে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস। বসন্তের রঙে ভালবাসা মিশেছে এসে। এতে উৎসবে এনেছে ভিন্ন আমেজ।

বসন্ত মানে পূর্ণতা। বসন্ত মানে প্রাণচঞ্চলতা। বসন্ত মানেই গাছে গাছে নতুন ফুল। ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, ফাল্গুনের প্রথম দিনে ঘরের বাইরে পা দিলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন ঘটেছে। মেয়েদের পরনে বাসন্তি শাড়ি, তার সঙ্গে মিলিয়ে হাতভর্তি চুড়ি, কপালে টিপ, আর খোঁপায় হলুদ ফুল।

এদিকে ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসব নগরের ফুলের দোকানে রয়েছে বাড়তি আয়োজন। দোকানগুলোতে রয়েছে গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ নানান রঙের দেশি-বিদেশি ফুলের বাহার। বিভিন্ন বুটিক হাউজ সেজেছে বসন্তের নানা পোশাকে।

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। উৎসবে এসেছে বাড়তি রঙ। ফলে উৎসবে মেতে উঠবে নগরবাসী। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মেতে উঠবে। বাঙালির মনে চলছে বসন্ত আর ভালোবাসা নিয়ে উৎসব-উদ্দীপনা।

বসন্ত বাতাসে ভালোবাসার দিন আসায় ফুল নিশ্চয়ই এবার একটু বেশি বেশি গন্ধ ছড়াবে আকুল প্রেমিক-প্রেমিকার মনে। বরাবর বসন্ত উদযাপনের পরদিন ভালোবাসা দিবস পালিত হয়। সঙ্গে থাকে বইমেলার ভিড়। বৈশ্বিক দুর্যোগ চলমান করোনা মহামারির কারণে এবার সব আয়োজন বন্ধ হয়ে আছে। তাই বলে তো আজ ফাগুনের আগুনলাগা উচ্ছ্বাসে প্রিয়তমের হাতে হাত রেখে প্রিয়ার কোমল হৃদয় ব্যাকুল হয়ে উঠবে না, এমন নয়? বাসন্তী আবিরের সঙ্গে খোঁপায় হলুদ গাঁদা আর মাথায় ফুলের টায়রায় শৈল্পিকতা ফুটে উঠবে নিশ্চয়ই। বাসন্তী রঙের তরুণীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তরুণরাও কম যাবে না। সঙ্গে আবার মিলেছে ভালোবাসার দিন।

বসন্তমিশ্রিত ভালোবাসার এমন দিনে পরস্পরের শুভেচ্ছায় সিক্ত হবে দু’জন। ফুল, কার্ড, চকলেট বিনিময়ের পাশাপাশি কবিতা ও ছন্দমিশ্রিত ক্ষুদে বার্তায় ভরে যাবে মুঠোফোনের ইনবক্স। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে যাবে পরানের গহিনের উষ্ণতা। বিনোদন কেন্দ্র ও পার্কসহ অনেক জায়গায় ভালোবাসা দিবস এবং বসন্তের ছোঁয়া থাকবে।

প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চে সকাল ৭.২৫ মিনিট থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বসন্ত উৎসব ১৪২৭ আয়োজন করে। এবার কোভিড-১৯ এর কারণে অনুষ্ঠানের স্থল পরিবর্তন ও অনুষ্ঠান সংকুচিত করা হয়েছে। এছাড়াও একই দিনে বিকাল ৩.৩০ মিনিট থেকে গেন্ডারিয়ার সীমান্ত গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ ও উত্তরার আজমপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এসব উৎসব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালিত হবে। এ ছাড়াও দেশের নানা জায়গায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে পহেলা ফাগুন ও ভ্যালেনটাইন’স ডে উদযাপন করবে। তবে করোনা মহামারির কারণে এবারের সব আয়োজন থাকবে স্বল্প পরিসরের ও সীমিত সময়ের জন্য।

চিত্রদেশ//এইচ//

Related Articles

Back to top button