প্রধান সংবাদ

প্রবাসী শ্রমিকরা যেভাবে পাবেন করোনার টিকা

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রবাসী শ্রমিকরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন এবং তাদের ক্ষেত্রে বয়স ভিত্তিক নিয়ম প্রযোজ্য হবে না, সরকারের এই ঘোষণার বাস্তবায়ন হচ্ছে। শুক্রবার থেকে সারা দেশের ৫৩ টি কেন্দ্রে প্রবাসী শ্রমিকদের টিকার নিবন্ধন শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকার জন্য বিক্ষোভ করেন প্রবাসী শ্রমিকেরা বিক্ষোভের পর জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)এই ঘোষণা দেয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী শ্রমিকদের টিকা পাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে বিএমইটি।

এতে বলা হয়, টিকার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বা বিএমইটি’র অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। দেশের ৪২টি জেলায় বিএমইটি’র কার্যালয়ে প্রবাসী কর্মীরা শুক্রবার থেকে সকাল নয়টা হতে বিকেল চারটা পর্যন্ত সরাসরি গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, মেহেরপুর, শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং লালমনিরহাটের ৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং নারায়ণগঞ্জের ইন্সটিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজিতে নিবন্ধন করা হবে।

এছাড়া ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমেও নিবন্ধন করা যাবে। বিএমইটি থেকে দেয়া স্মার্টকার্ড না থাকলেও যেকোনো শ্রমিক এই নিবন্ধন করতে পারবেন। সেজন্য পাসপোর্ট নম্বর প্রয়োজন হবে।বিএমইট ‘র অনুমোদন পাওয়ার পর ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইট বা অ্যাপে গিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনে বয়সের ক্ষেত্রে ৪০ বছর না হলেও প্রবাসী কর্মীরা টিকার জন্য নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।

প্রসঙ্গত, গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য দেশ সৌদি আরব ঘোষণা করে যে সেখানে পৌঁছানোর পর শ্রমিকদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কুয়েতেও একই নিয়ম। তবে টিকা দুটি ডোজই নেয়া থাকলে এই নিয়ম শিথিল থাকবে। শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিন প্যাকেজের জন্য ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকাও খরচ করতে হচ্ছে। আর সেজন্যেই টিকায় অগ্রাধিকারের ব্যাপারে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে। তবে তারা শুনেছেন সৌদি আরব ও কুয়েত চীনের তৈরি টিকার সনদ গ্রহণ করা হবে না। তাই প্রবাসী কর্মীরা ফাইজারের টিকা নিতে চান।

প্রবাসী শ্রমিকদের ফাইজারের টিকা দেবার পরিকল্পনা কথা জানিয়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম বলেন, সরকারের হাতে যতক্ষণ ফাইজার থাকবে সেখান থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।

ঢাকার সাতটি হাসপাতালে শ্রমিকদের টিকা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button