পুরোদমে চলছে বইমেলার প্রস্তুতি
স্টাফ রিপোর্টার:
ফেব্রুয়ারি ভাষার মাস। আর এই ভাষার মাসব্যাপী হয়ে থাকে বাঙালিদের প্রাণের স্পন্দন ‘অমর একুশে বইমেলা’। তবে এবারে মহামারীর কারণে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে বইমেলা শুরু হবে ১৮ মার্চ। তাই বইমেলাকে ঘিরে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে পুরোদমে প্রস্তুতি।
বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৮ জন বাঙালির আত্মত্যাগের স্মরণে প্রতিবছর মাসব্যাপী এই বইমেলার আয়ােজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য মন্ত্রীগণ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
সরজমিনে বাংলা একাডেমি চত্বর এবং সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার স্টল প্রস্তুত ও অবকাঠামাে নির্মাণে শ্রমিকদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। মিস্ত্রিদের হাতুড়ি-পেরেক আর কাঠের ঠুকঠাক শব্দে পুরোদমে চলছে স্টল, প্যাভিলিয়ন, মঞ্চ তৈরির কাজ। আকর্ষণীয় স্টল নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
পুরোদমে চলছে বইমেলার প্রস্তুতি
বইমেলার সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা আয়ােজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, মেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। এবারে মেলার স্টলগুলো উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভকে কেন্দ্র করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। স্বাধীনতা স্তম্ভের চারিদিকে বাংলা বর্ণমালা দিয়ে তৈরি করা হবে হরফ স্থাপনা। এ বছর মেলার জন্য নির্ধারিত স্থান প্রায় ১৫ লক্ষ বর্গফুট, যা আগের বছরের চেয়ে ছয় লক্ষ ৫০ হাজার বর্গফুট বেশি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়াতে এর আয়তন বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রথমে আমরা মেলার স্টলগুলো পৃথক পৃথক করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে এর আয়তন বিবেচনা করে এটি না করে স্টলের সারিগুলোর দূরত্ব বাড়ানো হয়েছে।
৫২২টি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানকে ৮০৭ ইউনিট বিন্যাস্ত করা হয়েছে
জালাল আহমেদ জানায়, এ বছর বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে প্যাভিলিয়ন দেয়া হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩৪। এছাড়া ৫২২টি প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানকে ৮০৭ ইউনিট বিন্যাস্ত করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১৩ সাল থেকে বইমেলা সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, উদ্যানের সামনের রাস্তায় মেট্রোরেলের কাজ চলায় এবার মেলায় প্রবেশ ও প্রস্থান জন্য অন্য আরেকটি নতুন পথ রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট সংলগ্নে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি পথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন একটি, অন্যটি বাংলা একাডেমির বিপরীত দিকে।
চলছে স্টল তৈরির কাজ
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া মেলার ভেতরেও মাস্কের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বৃষ্টিতে কেউ যেন ভিজে না যায়, সেজন্য চারটি আশ্রয়স্থল নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, রবি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খােলা থাকবে।
চিত্রদেশ//এলএইচ//