পা ফেলার জায়গা নেই শিমুলিয়া ঘাটে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধ করতে ২২ জুন থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা জেলাসহ মুন্সীগঞ্জের আশপশের জেলার সাথে মুন্সীগঞ্জ জেলাকে বিছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা মানছে না কেউ।
শুক্রবার সকাল থেকে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌ-রুটসহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নিষেধাজ্ঞা এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রী পারাপার রয়েছে আগের মতোই।
দূরপাল্লার বাস ছেড়ে না গেলেও অবাধে চলছে অটোরিকশা-সিএনজি, প্রাইভেটকার, কাভার্ডভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন। এতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ঘাটে বাড়ছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। প্রশাসন সজাগ থাকলে কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে পারবে না।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাত্রীদের ঘাটে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ সদরের ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, জেলায় চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। শহরের মধ্যে যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে এখন ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী ফেরিতে শুধু রোগী বহনকারী গাড়ি এবং জরুরি পণ্য পরিবহণের গাড়ি ছাড়া সবকিছু পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঘাটে ভিড় জমাচ্ছে যাত্রীরা।
চিত্রদেশ//এফটি//