অপরাধ ও আইন

নানা সংক্রামক রোগে ভুগছে মজনু, উন্নত চিকিৎসা জরুরি ধর্ষিতার

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারের পর র‌্যাবের কাছে সে ধর্ষণের দায় শিকার করে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে, মজনু ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’। প্রতিবন্ধী-ভিক্ষুক নারীরাও মজনুর হাত থেকে রেহাই পায়নি। মানসিক প্রতিবন্ধীদের টার্গেট করে সে সুযোগ বুঝে তাদের ধর্ষণ করত।

র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, ভবঘুরে মজনু তার মতোই থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের টার্গেট করত। কুর্মিটোলার ঘটনাস্থলে সে একই অপকর্ম আগে করেছে। কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের সঙ্গে সে অপরাধ না করায় আগে তা ধরা পড়েনি। বিকৃত মানসিকতার এই যুবক অনিরাপদ জীবনের কারণে সংক্রমণ রোগসহ বিভিন্ন অসুস্থতায়ও ভুগছে। এ কারণে ধর্ষিত তরুণীর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন র‌্যাবের একাধিক সূত্র।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক বন্ধন বিচ্ছিন্ন থাকা এবং ছোটবেলা থেকে অপরাধ করে বেড়ানোর কারণে বিকৃত মানসিকতা লালন করছিল মজনু। রেললাইনের বস্তিতে এমন অনেক মজনু আছে। এদের মাধ্যমেও ধর্ষণের মতো অপরাধ সংঘটিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।

র‌্যাবের গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘মজনু তার ভাষায় ‘পাগলিদের’ আটকে রেখে ধর্ষণ করত। এ কারণেই এত দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটা অপরাধী মানসিকতার প্রকাশ। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে মাদকাসক্তি ও ছিনতাইয়ের মতো কাজ করায় সে নির্দয় মানসিকতার বলে মনে হচ্ছে।’

একটি সূত্র জানায়, ‘ফুটপাতে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক গ্রহণের কারণে সংক্রমণ ব্যাধিসহ তার শরীরে রোগের আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনার দিনও সে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিজের চিকিৎসায় যায়। তার দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় ছাত্রীর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।’

 

চিত্রদেশ//এস//

 

Related Articles

Back to top button