ত্রাণ চুরির প্রমাণ পেলেই গ্রেফতার: দুদক চেয়ারম্যান
স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, সরকারি ত্রাণের চাল চুরির প্রমাণ পাওয়া গেলেই জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী দুদকের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
বুধবার দুদকের গোয়েন্দা শাখা থেকে সরকারি সহায়তার ও অভিযানের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন অবহিত করার পর দুদক চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টদের এসব কথা বলেন। দুদকের পরিচালক জনসংযোগ শাখা থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহাকে স্বাগত জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে দুদক যেসব মামলা করেছে সেগুলোর দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। দুদকের গোয়েন্দা শাখা, সব সমন্বিত জেলা কার্যালয় এবং সব বিভাগীয় কার্যালয় ত্রাণ কার্যক্রমের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ কার্যক্রমের প্রতি নিবিড় দৃষ্টি রাখবে। যাকেই ত্রাণ আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত পাওয়া যাবে, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ত্রাণ আত্মসাতকারীদের প্রচলিত আইনে এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ত্রাণ আত্মসাতের সাহস না পায়।
দুদকের জনংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ত্রাণসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১০ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৭টি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে ১০ এপ্রিল দুদক এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ত্রাণসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির কার্যক্রম নজরদারি করছে প্রতিষ্ঠানটি। পরদিন ১২ এপ্রিল বগুড়ায় সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বগুড়ায় প্রথম মামলা করে দুদক। এরপরে পর্যায়ক্রমে মানিকগঞ্জে দুটি, বরগুনা, বরিশাল ও ঢাকায় একটি করে মামলা করে দুদক। গত মঙ্গলবার সর্বশেষ মামলা করা হয় নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
চিত্রদেশ//এস//