প্রধান সংবাদ

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সি আর দত্তের মরদেহ

স্টাফ রিপোর্টার:
সর্বসাধারণের সম্মান জানানোর জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নেয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তমের মরদেহ।

মঙ্গলবার সকালে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এখানেই শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে সি আর দত্তের মরদেহ। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে উপস্থিত রয়েছেন বীর উত্তম সি আর দত্তের তিন মেয়ে, ছেলে, মেয়ের জামাতা ও নাতি-নাতনিরা।

এর আগে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘর থেকে তার লাশ নেয়া হয় বনানীর ডিওএইচএসের বাসায়। সেখানে বনানী সোসাইটির আয়োজনে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাকে। পরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে আনা হয় লাশ।

এখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার দেবে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাশ রাখার পর রাজধানীর বাসাবো-সবুজবাগ এলাকার শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দিরে শেষকৃত্যের জন্য লাশ নেয়া হবে। সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের এই সেক্টর কমান্ডারকে সম্মান জানানো হবে।

গতকাল সোমবার সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় সি আর দত্তের মরদেহ।

গত ২৫ আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) বীর উত্তম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

সি আর দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত। এছাড়াও বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সি আর দত্ত।

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়া ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওয়ানবাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীরউত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।

চিত্রদেশ//এল//

 

Related Articles

Back to top button