‘টিকা নেওয়া ছাড়া কেউ অফিসে আসতে পারবে না’
স্টাফ রিপোর্টার:
ভ্যাকসিন দেওয়ার শর্ত সাপেক্ষে ১১ আগস্ট থেকে শপিংমল, দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সড়কে চলবে গণপরিবহণও।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সভায় করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউন আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়া ছাড়া কেউ অফিস, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে, গ্রামে গ্রামে নন্যুতম ২টি করে কেন্দ্র করা হচ্ছে। এক সপ্তাহে ১ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে সপ্তাহব্যাপী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে সভাটি শুরু হয়। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন দেয় সরকার। সেই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হবে।
বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
তবে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলছে। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।
চিত্রদেশ//এফটি//