লাইফস্টাইল

জেনে নিন ক্যাপসিকামের ১০ গুণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ক্যাপসিকাম সবজি হিসেবে সব দেশেই কম বেশি পরিচিত। এটি আমাদের দেশের সব্জি না হলেও এর চাষ ধীরে ধীরে বাড়ছে। মাছ, মাংস বা যেকোনো সবজির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় ক্যাপসিকাম। অল্প তেল, মশলা দিয়ে রান্না করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, বুকের জ্বালাপোড়া (গ্যাস্ট্রিক) দূর হয়। ১০০ গ্রামের একটি ক্যাপসিকামে রয়েছে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, ৪ দশমিক ৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ দশমিক ৭০ মিলিগ্রাম চর্বি, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ৩৭০ আইইউ ভিটামিন-এ। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণ ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি৬, থায়ামিন, লেবোফ্লেবিস ও ফলিক এসিড পাওয়া যায়। খনিজ উপাদানের মধ্যে ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, আয়রন ৩৮০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৭৫ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফ্লোরাইড সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়।

আজকের আয়োজনে থাকছে ক্যাপসিকামের গুনাগুন সর্ম্পকে কিছু তথ্য-

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

ক্যাপসিকামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহদূরকারী উপাদানগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল অ্যান্টি-ক্যানসার এজেন্ট। এতে সালফার যৌগ ছাড়াও ক্যারোটেনয়েড লাইকোপেন পাওয়া যায় যা বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করে

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং বেটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

ওজন কমায়

ক্যাপসিকামের অ্যাক্টিভেটিং থার্মোজেনেসিস এবং হজম শক্তি উন্নত করার ক্ষমতা দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক। ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে চর্বি থেকে যে ওজন বৃদ্ধি পায়, তা হ্রাস করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

ভিটামিন সি এবং কে দেহের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে, যার ফলে ছোটোখাটো নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।

দেহে আয়রনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা কমায়

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা দেহে আয়রন শোষণে সহায়তা করে। এতে দেহে আয়রনের অভাব জনিত সমস্যা দূর হয় এবং রক্তসল্পতার মতো রোগও প্রতিরোধ করে।

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমায়

ক্যাপসিকামের ক্যাপসাইসিন উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।

হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর করে

ক্যাপসিকামের জুস হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও পেটের পীড়া জনিত রোগ যেমন গ্যাস হওয়া, ডায়রিয়া, ডিসপেপসিয়া ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে।

ব্যথা থেকে মুক্তি

এটি যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে।

বাত প্রতিরোধ করে

বাতের মতো সমস্যার প্রতিরোধ করে ক্যাপসিকাম। সিনকোনা নামক জড়িবুটির সাথে ক্যাপসিকাম খেলে, তা গেঁটে বাত ও রিউমেটিক আর্থারাইটিসের উপশমে খুব ভাল কাজ করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

এই সবজিটি ডায়াবেটিস নিয়িন্ত্রণ করতেও কার্যকর এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখে।

চিত্রদেশ//এইচ//

Related Articles

Back to top button