লাইফস্টাইল

জেনে নিন এসি বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ তল্লার বায়তুল বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায়ে সময় হঠাৎ এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে মসজিদের চারপাশে। এতে দগ্ধ হন অন্তত ৪০ জন। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ওই বিস্ফোরণে মারা গেছেন ২৪ জন।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসচেতনতা বা অসতর্কতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বাজারে এখন নানা রকম এসি পাওয়া যায়। তবে মানসম্মত এসি ছাড়া দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

চলুন জেনে নেয়া যাক এসি বিস্ফোরণের কারণ…

১. রুমের লোড অনুপাতে এসি ব্যবহার না করলে। এতে এসিটি অনেকক্ষণ ধরে চলতে হয়, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। তা থেকে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা রয়েছে।

২. নিম্নমানের এসির ভেতরে ফ্যান, তারের, বিদ্যুতের ব্যবস্থাগুলো ঠিক থাকে না। ফলে সেখানেও কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়, যা অনেক সময় আগুনের সূত্রপাত করতে পারে।

৩. এসি দুর্ঘটনার আরেকটি বড়ো কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ফলে কারিগরি ত্রুটির কারণে এসিতে আগুন ধরে যেতে পারে বা এসির গ্যাসে আগুন লেগে সেটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৪. অনেক সময় উইন্ডো এসির সামনে জানালা বা দরজার পর্দা চলে এলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সেটিও এসিকে গরম করে তুলতে পারে।

৫. সঠিক স্পেকের পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার না করলে।

৬. এসির কনডেনসার এ ময়লা থাকলে কম্প্র্রেসর-এ হাই টেম্পারেচার এবং হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

৭. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্র্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।

৮. কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট (refrigerant) চার্জ করলে এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

৯. কম্প্রেসর-এ প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।

১০. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।

১১. সঠিক রেটিং এর সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।

এসি বিস্ফোরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

১. ভালো মানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার ক্যাবল ব্যবহার করা।

২. এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।

৩. কম্প্র্রেসর-এ হাই টেম্পারেচার এবং হাই প্রেশার তৈরি হচ্ছে কি না পরীক্ষা করা।

৪. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না পরীক্ষা করা।

৫. কম্প্র্রেসর-এ প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না তা অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষা করা।

৬. কম্প্র্রেসর-এর লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা এবং সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।

৭. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।

৮. বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্র্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।

৯. নিম্নমানের অখ্যাত কিংবা নকল ব্র্যান্ডের এসি এবং কম্প্র্রেসর কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।

১০. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।

১১. বারান্দা কিংবা খুব কাছে না রেখে ঘরের বাইরে এসি আউটডোর সেট করা।

১২. দীর্ঘদিন পর এসি চালু করার আগে একজন দক্ষ সার্ভিস এক্সপার্ট দিয়ে এসিটি পরীক্ষা করে নেয়া।

চিত্রদেশ //এল//

Related Articles

Back to top button