চিকিৎসকের ৫ পরামর্শ মানলে হাড় ক্ষয় হবে না
লাইফস্টাইল ডেস্ক
জটিল একটি অসুখ অস্টিওপোরোসিস। এই রোগের পাল্লায় পড়লে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে অল্পতে হাড়ে চিড় ধরে। এমনকী হাড় ভেঙেও যেতে পারে। পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগ বেশি দেখা দেয়। যদিও আজকাল অনেক পুরুষও অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই রোগটি নিয়ে সবার সাবধান হওয়া জরুরি।
হাড় ভালো রাখতে চাইলে চিকিৎসকের কিছু পরামর্শ মেনে চলা জরুরি। এমন কিছু নিয়ম সম্পর্কে চলুন জানা যাক। এগুলো মানলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রসস্থ হবে।
ব্যায়াম করতেই হবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, যত বেশি শুয়ে বসে দিন কাটাবেন, হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কা তত বাড়বে। তাই আজ থেকেই অলসতা ছাড়ুন। দিনে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে জিমে যান। আর জিমে যেতে না পারলে বাড়িতেই পুশআপ, সিটআপ, প্ল্যাংক, স্কোয়াটের মতো ব্যায়ামগুলো করুন। এতেও উপকার মিলবে। একান্তই যদি ব্যায়ামের অবসর না মেলে তাহলে হাঁটুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট জোর কদমে হাঁটার অভ্যাস করুন।
গায়ে রোদ লাগান
বাসা থেকে শুরু করে অফিস— সব জায়গায় এসি। আর তাই আজকাল অধিকাংশ মানুষই গায়ে রোদ লাগান না। আর এই কারণেই শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি তৈরি হয় না। ফলে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব হলে হাড়ের অভ্যন্তরে ক্যালশিয়াম প্রবেশ করতে পারে না। তাই হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে যেকোনো সময় ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। এতেই উপকার মিলবে।
ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান
হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে খাদ্যতালিকায় রাখুন দুধ, ছানা, দই, পনিরের মতো দুগ্ধজাত কিছু খাবার। কারণ এসব খাবার ক্যালশিয়ামের ভাণ্ডার। হাড়ের জোর বাড়ায় এই খনিজ। নিয়মিত খান সবুজ শাক। এতে দেহে ভিটামিন কে-র ঘাটতি পূরণ হবে। এই ভিটামিনও হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার খেয়ে অনায়াসে অস্টিওপোরোসিসের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায়।
ধূমপান, মদ্যপান ছাড়ুন
সুস্থ থাকতে চাইলে অবশ্যই ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে। এতে শরীরের হাল ফেরাতে পারবেন। এমনকী বাড়বে হাড়ের জোরও। পাশাপাশি ফাস্টফুড, প্রসেসড ফুডের মতো অত্যন্ত ক্ষতিকর সব খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার শরীরে প্রদাহ বাড়ায়। ফলে হাড়ের ক্ষয় হতে পারে। সেই সঙ্গে বাতের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কাও প্রবল হয়। তাই এসব খাবার না খাওয়াই ভালো।
নিয়মিত টেস্ট করুন
চিকিৎসকদের মতে, বয়স ৪০ পার হলে প্রতি বছর নিয়ম করে ডেক্সা স্ক্যান করতে হবে। এই স্ক্যানের মাধ্যমেই হাড়ের ক্ষয় ধরা পড়ে যায়। এরপর শুরু করা যায় চিকিৎসা। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, প্রেশার, থাইরয়েডের মতো অসুখও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই ক্রনিক সমস্যাগুলোর জন্যও হাড়ের সমস্যা বাড়তে পারে।
এসব নিয়ম মেনে চললেই হাড় ভালো থাকবে আপনার। এরপরও হাড়ের ক্ষয় হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।