স্বাস্থ্য কথা

গ্যাস্ট্রিক দূর করতে যা করবেন

স্বাস্থ্য কথা:
খাবার পর পরই বুক জ্বালা করা, ঘন ঘন ঢেঁকুর ওঠা, বদহজম ইত্যাদি অ্যাসিডিটির বা গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ। দৈনন্দিন অভ্যাসে সামান্য রদবদল আনলেই মুক্তি পেতে পারেন অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে। তবে প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

একেক জনের একেক খাবারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি নিরামিষ খাবারের মধ্যেও এরকম অনেক খাবারই রয়েছে যা গ্যাসের সমস্যা বাড়াতে পারে। আপনার কোন খাবার খেলে বুক জ্বালা করছে সেটা বুঝে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। ভাজাভুজি, বেগুন, সয়াবিন, ইস্ট, দুধ, আস্ত ডাল বাদাম ইত্যাদি গ্যাসের কারণ হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুক-পেট জ্বালা করলে হারবাল টি খেতে পারেন। বিশেষত পেপারমিন্ট টি অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যার অব্যর্থ সমাধান। গরম পানিতে টি-ব্যাগ কয়েকবার ডুবিয়ে নিন। খাবার পর এই চা খান।

অ্যাসিডিটি এড়াতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসও কিন্তু জরুরি। তামাক, ক্যাফেইন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

প্রতিদিন শরীরচর্চা করলেও উপকার পাবেন। প্রতিদিনের ঘুমের পরিমাণও ঠিক রাখুন।

শরীরে যে অ্যাসিড বর্জ্য পদার্থ হিসেবে জমা হয়, তা দূর করতে পানির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং শরীরে যেন
পানির পরিমাণ ঠিক থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রতিদিন ২ লিটার পানি খাওয়া অভ্যেস করুন। তবে খাবার
খেতে খেতে পানি খাবেন না, এতে ব্লোটিংয়ের সমস্যা হয়।

অ্যাসিডিটি দূর করতে রিফাইন্ড বা প্রসেসড খাবার, টকজাতীয় ফল এবং তার রস, ঝাল, চকোলেট এবং ডিপ ফ্রায়েড ফুড খাওয়া বন্ধ করুন।

আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়, সেক্ষেত্রে ওজন কমালেও সমস্যা অনেকাংশে কমবে।
তাড়াহুড়ো করে খাওয়া, খেয়েই শুয়ে পড়া ইত্যাদির কারণেও গ্যাস্ট্রিক বাড়তে
সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না।

অনেকক্ষণ পেট খালি রাখবেন না। সকালে এবং সন্ধ্যায় এক গ্লাস করে লাউয়ের রস খেতে পারেন। এটি ক্ষারজাতীয় হওয়ায় হার্টবার্ন প্রতিরোধ করবে।

ব্রেকফাস্টে একবাটি পেঁপে বা আনারস খেতে পারেন। এই ফলগুলোতে একধরনের উৎসেচক থাকে যা বদহজম কমাতে এবং গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে সাহায্য করে।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button