গোপনে হাইকোর্ট থেকে জি কে শামীমের জামিন!
স্টাফ রিপোর্টার:
ক্যাসিনোকাণ্ড ও টেন্ডারবাজির ঘটনায় গ্রেফতার আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। গত ৪ ও ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র ও মাদক আইনে করা দুটি মামলায় পৃথক আদালত থেকে তিনি জামিন পান।
তবে জামিনের বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এফ আর খান। আদেশটি জাল কিনা- খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় সম্প্রতি জি কে শামীম (এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম) হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। শনিবার আদেশের কপি গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে পৌঁছে।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে নেয়া আদেশের কপিতে দেখা গেছে, ওই দিনের কার্যতালিকায় ১৩৫ নাম্বারে (ক্রিমিনাল আপিল ১৪১১৯/২০১৯) এস এম গোলাম বনাম রাষ্ট্র ছিল। আদেশে শামীমের বাবার নাম মৃত হাফেজ আফসার উদ্দিন মাস্টার ও মায়ের নাম আয়েশা আক্তার লেখা রয়েছে। বর্তমান ঠিকানা বলা হয়েছে, বাড়ি নং ১১৩, রোড নং ৫, ব্লক নং ৫/বি, নিকেতন, গুলশান। এতে গ্রামের বাড়ি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দক্ষিণপাড়া।
আদেশে অ্যাডভোকেট শওকত ওসমানকে শামীমের আইনজীবী আর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান (এফ আর খান), সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন ও মো. শফিকুজ্জামান রানার নাম উল্লেখ রয়েছে।
এ দিকে জানতে চাইলে জামিনের বিষয়টি জানেন না বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এফ আর খান।
তিনি বলেন, সাধারণত স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল সাবমিশন করে থাকেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলায় জি কে শামীম জামিন পেলেন আমরা জানতে পারলাম না। ওইদিন আমি কোর্টে ছিলাম। আদেশটি জাল কিনা সেটা রোববার খতিয়ে দেখা হবে।
এ দিকে জি কে শামীমের আইনজীবী শওকত ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্র ও মাদক মামলায় জি কে শামীম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। এই দুই মামলায় জামিননামা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। দুটি মামলায় জামিন পেলেও জি কে শামীমের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা আছে। এই দুটি মামলায় এখনও জামিন পাননি তিনি। এ কারণে জি কে শামীম এখনই মুক্ত হচ্ছেন না।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর শামীমকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও মামলা রয়েছে। গত বছরের ২১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দায়ের করা ওই মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
চিত্রদেশ //এফ//