প্রধান সংবাদ

গণমাধ্যম কর্মীরা জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছেন: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাকালে গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছেন। অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণও করেছেন। করোনাকালে গণমাধ্যমের কোনো কোনো মালিক সংকটে পড়েছেন। আবার কেউ কেউ লাভবান হচ্ছেন। বিজ্ঞাপন কিছু কমলেও তাদের অন্যান্য খরচ কমেছে। এ অবস্থায় কর্মী-মালিক সমন্বয় করে সংকট ভাগাভাগি করে নিতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। ফলে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়েই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজে খুলনা বিভাগের সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ খুলনা বিভাগের ৯ জেলার সাংবাদিক নেতাদের হাতে ৩৩৮ জন সাংবাদিকের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে যশোরে ৪৮ জন, খুলনায় ১১৪ জন, মাগুরায় ২৭ জন, মেহেরপুরে ২৫ জন, সাতক্ষীরায় ৩৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২৮ জন, ঝিনাইদহে ২৯ জন, নড়াইলে ২৭ জন ও বাগেরহাটে ৬ জন রয়েছেন।

যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মহামারীকালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি দিনও বসে নেই। প্রতিদিনই তিনি কাজ করছেন। অথচ বিএনপির নেতারা শুধু টেলিভিশখনে উঁকি দিয়ে মুখ দেখাচ্ছেন। তারা মানুষের পাশে নেই। কেউ মাঠে নেই।

তিনি বলেন, করোনাকালে পুলিশ বাহিনী বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, ডাক্তার, নার্স মহামারীতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। চার হাজার সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আগামীতেও দেয়া হবে। সরকার সবার জন্য। এ জন্য যারা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে একদিন কথা না বলে থাকতে পারেন না তাদেরকেও এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আগামীতেও এদেরকে দেয়া হবে। যারা ইউনিয়নের সদস্য না তারাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করলে সহায়তা দেয়া হবে।

তিনি সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা অন্ধ ও বধিরের মতো এক পেশে সমালোচনা করবেন না। আপনার সমালোচনা যেন সরকারের সহায়ক হয়।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালে আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকাও এমনভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ায়নি। শুধু ভারতে কোনো সাংবাদিক মারা গেলে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সহ-সভাপতি মনোতোষ বসু, যুগ্ম-মহাসচিব সাকিরুল কবীর রিটন প্রমুখ।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button