প্রধান সংবাদ

খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট ভালো

স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট অনেক ভালো বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল টিমের প্রধান অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী। মঙ্গলবার রাতে বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ভর্তি করানোর পর সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন তিনি।

রাত সাড়ে ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা থেকে এভার কেয়ার হাসপাতালে আসেন। পরে হাসপাতালে তার সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এভার কেয়ারে ৭২০৪ কেবিনে তিনি আছেন। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল সিটি স্ক্যান করাতে খালেদা জিয়াকে এই হাসপাতালে আনা হয়েছিলো।

খালেদা জিয়ার আজকে সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে জানিয়ে এফএম সিদ্দিকী বলেন, প্রথম যে সিটি স্ক্যান করিয়েছিলাম, তার চেয়ে আজকের রিপোর্ট অনেক ভালো। সেই দিক দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ উনি সার্বিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কোভিডের অন্যান্য প্যারামিটার ডি-ডাউমার, ফেরিটিন্স, সিআরপ এগুলো ঠিক আছে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফলাফলগুলো পর্যালোচনা করা পর্যন্ত খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা উনার অন্যান্য যেসব পরীক্ষা গত এক বছর করতে পারিনি, সেগুলো করাবো। আমরা রিপোর্টগুলো পেলে তা রিভিউ করবো। অস্থির হয়ে উনাকে ভর্তি করালাম। রিপোর্ট ঠিকমতো না দেখে আবার নিয়ে গেলাম, আবার একটা দুইটা পরীক্ষার জন্য আবার উনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলাম-এটা ভালো দেখায় না। সেজন্য বিভিন্ন পরীক্ষাগুলো সারতে আমরা উনাকে কেবিনে ভর্তি করিয়েছি।’

খালেদা জিয়াকে কতদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক-দুইদিন ম্যাক্সিমাম। রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর তার রিভিউ করবো। তারপর উনাকে বাসায় নিয়ে আসবো।

খালেদা জিয়ার অবস্থা কেমন- জানতে চাইলে ডা. সিদ্দিকী বলেন, উনার অব্স্থা স্থিতিশীল। কোভিডের কোনো উপসর্গ উনার নেই। উনি ভালো আছেন।

নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক একটি টিম চিকিৎসা শুরু করেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও গুলশানে ‘ফিরোজা’র বাসায় তার গৃহকর্মীসহ আরো ৮ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুইজন বাড়ি চলে গেছেন এবং বাকীরা ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

৭৫ বছল বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ডিত। দন্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়, শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চিত্রদেশ//এলএইচ//

Related Articles

Back to top button