খালেদাকে বিদেশ নেওয়া ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’: তথ্যমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নতি চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ, হাসপাতালে আছেন, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। মহান স্রষ্টার কাছে আমি প্রার্থনা করি, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করে সহসা ঘরে ফিরে যান।
তিনি বলেন, আদালতে তার (খালেদা জিয়া) জামিন না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে করোনা মহামারির শুরুতেই প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাকে মুক্তি দিয়েছেন এবং সেটি দুই দফা বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু তার এই অসুস্থতার অজুহাতকে সামনে এনে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। করোনার চিকিৎসা তো আমাদের দেশে যা, ইংল্যান্ডেও তা, সিঙ্গাপুরেও তা, ইউরোপেও তা। সুতরাং এই ধরনের দাবি আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দেশবিরোধী সব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে করোনা মহামারির এই পরিস্থিতির মধ্যেও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষ পালন করছি, তখন ২৬ থেকে ২৮ মার্চ সারা দেশে হেফাজতের ব্যানারে তাণ্ডব চালানো হলেও এতে অংশগ্রহণ ছিল বিএনপি-জামায়াতের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মাঝে মধ্যে তারা দেখা করেন। কিন্তু দেখা-সাক্ষাতের কারণে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যাহত হবে না, কারণ দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, সমস্ত ষড়যন্ত্র, সমস্ত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা আমাদেরকেই উপড়ে ফেলতে হবে, আমরা কারো ওপর ভরসা করব না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বুকে পাথর বেঁধে লড়াই-সংগ্রাম করেছি এবং সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৬-তে সরকার গঠন করেছিল। তাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলব, আজকে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে যেন আমাদের আলস্যতায় পেয়ে না বসে।
‘দৈব-দুর্বিপাকের মধ্যেও মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহীতে বক্তব্য দেয়, ডা. জাফরুল্লাহ ঢাকায় বক্তব্য দেন এবং বিভিন্নজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, লন্ডন থেকে লেখানো হয়। তাই এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে, ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে হবে, কারণ ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার টিরটু সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি, হোসনে আরা এমপি, শামীমা শাহরিয়ার এমপি, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রায় পাঁচশত পরিবারের হাতে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।
চিত্রদেশ//এল//