আন্তর্জাতিকপ্রধান সংবাদ

কাবুল ছাড়ছে ভারত, থাকছে পাকিস্তান, চীন ও রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চরম বিশৃঙ্খলার কারণে বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যাওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার কূটনীতিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে আবার কাবুল বিমানবন্দর চালু হয়েছে। এর আগে সোমবার বিপুল সংখ্যক আফগান বিমানবন্দরে হাজির হলে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর বিবিসির।

আশরাফ ঘানি সরকারকে হটিয়ে তালেবানরা কাবুল দখলের পর বিপুল সংখ্যক আফগান দেশত্যাগের চেষ্টা করেন। বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের কূটনীতিক ও কর্মীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের কাবুল দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ফিরিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ দেশ হিসাবে আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে ভারত। দেশটির বিশেষ বিমানে কাবুল দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মীদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি টুইটে বলেন, কাবুল থেকে তাদের দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারিদের খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিদেশি দূতাবাসগুলো চলে যাওয়ার ফলে কাবুলে অবশেষে তিনটি দেশের দূতাবাস থাকছে। এগুলো হলো – রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান।

ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, তারা দেশটিতে ছোট একটি কূটনৈতিক মিশন রাখবে, যদিও তারাও দূতাবাস খালি করে ফেলছে।

এর আগে রাশিয়া জানিয়েছিল যে, তারা তাদের দূতাবাস কর্মীদের একটি অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। দেশটির রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি যিরনভের আজ তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

চীনের দূতাবাস জানায়নি যে, তারা কী করতে যাচ্ছে। তবে দেশটিতে থাকা চীনের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে যে, তারা যেন নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপারে সতর্ক থাকে।

গত রোববার তালেবানরা কাবুলে প্রবেশ করে। এর জেরে দেশ ছেড়ে পালান দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমান অর্থ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

তালেবানরা সহিংসতা চালাতে পারে – এমন আশঙ্কা থেকে সোমবার কাবুল বিমানবন্দর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। লোকজন যেনোতেনোভাবে বিমানে ওঠার চেষ্টা করেন। দুই ব্যক্তি বিমানের চাকার খাঁজে প্রবেশ করেন। পরে বিমান আকাশে উঠলে পাখির মতো নিচে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। এর ভিডিও ফুটেজও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

একাধিক ছবিতে দেখা যায় যে, হাজার হাজার আফগান শহর থেকে পালাতে বিমানে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে রানওয়েতে দৌড়চ্ছেন। সেখানে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এটা পরিষ্কার নয় যে, তারা গুলিতে নাকি পদদলিত হয়ে মারা গেছেন।

তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজকের (মঙ্গলবার) পরিস্থিতি অনেক শান্ত। পশ্চিমা একজন নিরাপত্তা রক্ষী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘গতকাল যারা এখানে ছিলেন, তাদের অনেকে বাড়ি ফিরে গেছেন।’ তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মাঝে মাঝে বিমানবন্দরের দিক থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button