করোনাকালে লেবুপানির স্বাস্থ্যকথা
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
করোনাকালে এই গরমে সুস্থ থাকাটাই বড় কথা। আর সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি’র বড় যোগানদাতা হচ্ছে ছোট লেবু। লেবু আকারে ছোট ফল হলেও এর উপকারিতা প্রচুর আর পুষ্টিগুণেও ভরপুর। লেবুতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমারোহ যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের জীবনে আমরা সবাই কম বেশি লেবু খেয়ে থাকি। সাধারণত লেবু আমাদের খাবারের স্বাদ বাড়ায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে লেবু খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। লেবু খাওয়ার সর্বোত্তম পন্থা হলো পানিতে লেবু চিপে সরবত করে বা লেবুপানি খাওয়া। তবে এই সরবতে চিনি না নিলেই বেশি উপকার।
সুস্থ থাকার জন্য আসুন জেনে নিই লেবুপানির অসাধারণ কিছু উপকারিতা-
শরীর আর্দ্র রাখে: শরীর আর্দ্র রাখার সর্বোত্তম উপায় পানি পান করা। কিন্তু অনেকের পানি পানে অনীহা রয়েছে। তাদের জন্য পরামর্শ, পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে পর্যাপ্ত পানি পান করা হবে এবং শরীর আর্দ্র থাকবে। সেই সঙ্গে লেবু শরীরের টক্সিক পদার্থ বার করে দেয়। তাই যেকোনো অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
ওজন কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে যে, পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভালো উৎস লেবু। এটি ওজন বাড়তে দেয় না এবং স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদরা বলেন, যারা ওজন কমাতে চান, তাদেরকে লেবুর রস হালকা গরম পানির সঙ্গে খেতে হবে।
হজমে সহায়ক: প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। গরম বা উষ্ণ লেবুপানি পান করলে হজম প্রক্রিয়াকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। আর খালি পেটে লেবুপানি পানের ফলে লিভার পরিষ্কার থাকে। এতে পরবর্তীতে খাবারগুলো ভালোভাবে হজম হয়। কারও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে, তা থেকেও পরিত্রাণ পেতে পারেন।
কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে: লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করে। এই সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের পাশাপাশি জমে থাকা পাথর বের করতেও সাহায্য করে।
ত্বক সুরক্ষা করে: লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। সূর্যের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
নিশ্বাসে সজীবতা আনে: খাওয়ার পর অনেক সময় মসলা, পেঁয়াজ, রসুন বা মাছের গন্ধ মুখে লেগে থাকে। মুখের দুর্গন্ধ বা নিশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে খাওয়ার পর এক গ্লাস লেবুর পানি পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে সকালে পান করলেও ফল পাওয়া যায়। এছাড়া লেবুপানিতে কুলকুচি করলেও মুখ সতেজ ও সুস্থ থাকে।
লেবুপানি খেতে পারেন দিনের যে কোনো সময়, খালি পেটেও। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই লেবুপানি তৈরিতে ছোট হলে একটা লেবুর রস ৮ আউন্স উষ্ণ বা স্বাভাবিক পানিতে মেশান। স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরির জন্য ফিল্টারের পানি এবং টাটকা লেবু ব্যবহার করা জরুরি।
চিত্রদেশ//এল//