কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই
স্টাফ রিপোর্টার:
উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা বিহাসে নিজ বাস ভবনে তিনি মারা যান। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা বিহাসে নিজ বাস ভবনে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। স্ত্রী শামসুন্নাহার কয়েক বছর আগেই প্রয়াত হন।
অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল। কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন।
হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রয়াত কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আজিজুল হকের ছেলে অধ্যাপক ইমতিয়াজ হাসান জানান, মঙ্গলবার বাদ জোহর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দাফন করা হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গোরস্থানে।
এর আগে শোক জ্ঞাপনের জন্য রাবি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হবে মরদেহ। এর আগে গত ২১ আগস্ট অধ্যাপক হাসান আজিজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। তিনি অনেকটা সুস্থ গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে ফেরেন।
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের জন্ম ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে। এখন তার বয়স ৮২ বছর। রাজশাহী কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেন। অবসর নেন ২০০৪ সালে। ঢাবির বঙ্গবন্ধু চেয়ারে ছিলেন ২০০৯ সালে। অবসর জীবন কাটাচ্ছিলেন লেখালেখি করে।
ষাটের দশকে আবির্ভূত এই কথাসাহিত্যিক তার সুঠাম গদ্য ও মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। জীবনসংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক এবং ২০১৯ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
চিত্রদেশ//এফটি//