গল্প-কবিতা

কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনী-‘মাদুরাই’ (পর্ব-১৮)

আমি পেডিয়াট্রিক ইউনিটে ঢুকেই প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর চন্দ্রার রুমে ঢুকে আমার লগবুক দেখাই ও বিজয়লক্ষী ম্যাডামের সাথে কথা বলতে বলি। চন্দ্রা আমার লগবুক নিয়ে ম্যাডামের কাছে যায়।পেডিয়াট্রিক ইউনিটে আগেই মার্লিইয়ান্টি এসে গেছে। আমাকে দেখে ও খুশি হয়। চন্দ্রা এসে আমাকে বলে ”ম্যাডাম আপনাকে ডাকছে”। আমি ম্যাডামের রুমে ঢুকি। ম্যাডাম আমাকে বসিয়ে নানা রকমের প্রশ্ন করেন । মনে হলো একটা ভাইভা পরীক্ষা দিলাম। যাক, ম্যাডাম বেশ খুশি হলেন।

মার্লিইয়ান্টি পেডিয়াট্রিক লেকচার রুমে , যেখানে ও সব খাবার পানীয় নিয়ে সুন্দর একটা এরেন্জমেন্ট করেছে। সেখানে যেয়ে আমরা সবাই বসলাম। ‘ইয়ান্টি’ অনেক মিষ্টি, কেক,পুডিং,পেটিস,সমুচা, ড্রিংকস এর আয়োজন করেছে। সবাই মিলে খেলাম। কিছু ছবিও তুললাম। আসার সময় ‘ইয়ান্টি’কে ডেকে ওর গিফটটা দিয়ে ওকে উইশ করে রুমে চলে এলাম।

২৮ তারিখ ডাঃ রাভি কে লগ বুকে যে ম্যাডাম সই করে দিয়েছেন দেখালাম। আর ওনাকেও ওনার জায়গায় সই করে দেবার জন্য রিকোয়েস্ট করলাম। ডাঃ রাভি আমাকে বেশ প্রশংসা করলো ”নোবডি ওয়াজ লাইক ইউ, মেনি পারনসনস হ্যাভ কাম হিয়ার ফর ট্রেনিং। বাট ইউ আর একসেপশনাল। ইউর অবজারভেশন ইজ ভেরি নাইস। আই টোল্ড ম্যাডাম এবাউট ইউ”। ডাঃ রাভি আমাকে আরও বললো, ”আমি তোমাকে আমার বাসায় নিয়ে যেতাম। কিন্তু এখন আমার বাসাটা অনেক দূরে হয়ে গেছে। আগে আমার বাসা বেশ কাছেই ছিল। আমরা এক জায়গায় বসতে পারি ও কিছু ছবিও তুলতে পারি সবাইকে নিয়ে।” ওনার কথা শুনে ভালই লাগল। আমি বললাম ”তিরিশ তারিখ আমার এন্ডিং ডে” ওই দিন আমরা এক জায়গায় বসে একটু এন্টারটেইনমেন্ট করতে পারি।

২৮ তারিখ সন্ধ্যার পর মার্লিইয়ান্টি ও ওরা সব লাগেজ নিয়ে নীচে নামলো। ওরা ইন্দোনেশিয়া চলে যাচ্ছে। আমরা অনেকেই তখন নীচে সোফায় বসে ছিলাম। ইয়ান্টি ও আরও দুটো মেয়ের সাথে লাস্ট কয়েকটা ছবি তুললাম। ‘ইয়ানটি’ আমাকে ”ইমেইল এ কানেকশন রাখতে বললো ও আমার কাছ থেকে পেডিয়াট্রিক এনেসথেসিয়া এর অনেক কিছু জেনে নিল। কিছু জিনিস ওকে আগেই লিখে দিয়েছিলাম। ওরা বিদায় জানিয়ে ট্যাক্সিতে উঠে গেল। (চলবে)

Related Articles

Back to top button