সংগঠন সংবাদ

ওজিএসবি ও হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার:
বন্ধ্যাত্ব সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। পরিবেশ দূষণ, ভেজাল খাবার গ্রহণ, স্ট্রেস, দেরিতে বিয়ে, কোলের ওপরে রেখে ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে বাড়ছে নারী ও পুরুষ বন্ধ্যাত্বের সংখ্যা।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

ওজিএসবি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম ও অধ্যাপক ডা. পারভিন ফাতেমা ছাড়াও অধ্যাপক ডা. রাশেদা বেগম, ডা. তাহমিনা বেগম, ডা. বেগম নাসরিন, ডা. নাজনীন আহমেদ. ডা. দিলরুবা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘক্ষণ কোলের ওপর ল্যাপটপ রাখা এবং স্মার্টফোনে কাজ করায় সেখান থেকে নির্গত রেডিয়েশন বন্ধ্যাত্বের অন্যতম একটি কারণ। এছাড়া ভেজাল খাবার গ্রহণের কারণে মানুষের মধ্যে উর্বরতা কমে যাচ্ছে।

জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যার ৮ থেকে ১০ ভাগ দম্পতি কোনো না কোনো রকমের বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছে। বাংলাদেশে এর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হয় এই সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি ‘বন্ধ্যাত্ব নিয়ে জটিলতা’ শীর্ষক এক গবেষণা করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগ। ওই গবেষণায় দেখা গেছে ৪৫ শতাংশ দম্পতি বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছে।

অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী বলেন, প্রসব পরবর্তী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং একলামশিয়া মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ। তবে রক্তক্ষরণে মাতৃমৃত্যুর হার আমরা কমাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু একলামশিয়ায় মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে পারছি না।

১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওজিএসবি জাতীয়, আন্তর্জাতিক এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস পাওয়ার পেছনে এ সংগঠনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button