এলাচ চায়ের উপকারীতা
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
বাঙালির আড্ডা কিংবা অতিথি আপ্যায়নে চা সারা বছরই চলে। তবে শীত এলে তার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। চায়ের সঙ্গে দুধ, এলাচ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকের। এটি শরীরের জন্যও উপকারী। এলাচে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডিপ্রেশন, ডায়াবেটিসও দূরে রাখতে সাহায্য করে এলাচ।
চায়ের সঙ্গে দুধ মেশানো কতটা উপকারী এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দুধ চায়ের দুধ চর্বিহীন হলেই ভালো। অর্থাৎ দুধ থেকে ফ্যাট তুলে নিয়ে তারপর চা বানালে সেই চায়ের স্বাদ কিন্তু অনেক বেশি হয়।
কনডেন্স মিল্ক ছাড়া চা করলে দুধে পানি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব ভালো করে পানি-দুধ ফুটলে তারপর তাতে চায়ের পাতা, এলাচ মেশান।
দুধ চায়ের ক্ষেত্রে গুঁড়া দুধ ব্যবহার করতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। শীতের সময়ে হজম ক্ষমতায় একটু সমস্যা প্রায় সবারই হয়। আর তাই তাতে যদি মেশে এলাচ তাহলে হজম ক্ষমত ভালো হয়। এছাড়াও শীতে ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি দূর করতেও উপকারী এলাচ চা।
এলাচের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। যা পাচন তন্ত্রের কাজ ভালো করে। হজমে সাহায্য করে।
আছে ফাইবার, উপকারী কোলেস্টেরল যা হার্টের জন্য ভালো। আর তাই সবুজ এলাচের বদলে কালো এলাচের চা বেশি ভালো।
ডিপ্রেশনের জন্য এলাচ খুব ভালো। বেশ কিছু সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে যারা ডিপ্রেশনের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন দুটি করে এলাচ চিবিয়ে খেলে ভালো উপকার পাবেন। আর তা দুধের সঙ্গে মেশালে আরও ভালো কাজ করে।
যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য উপকারী একটি মশলা হলো এলাচ। সর্দি, কাশি এসব সমস্যা হলে এলাচ চা খেতে বলা হয়। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও খুব ভালো এলাচ। এছাড়াও মুখে কোনো রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না। জেনে নিন এলাচ চা তৈরির পদ্ধতি-
উপকরণ:
সবুজ এলাচ- ৫টি, দারুচিনি- ১ টুকরো, চিনি- স্বাদ মতো, দুধ- ১ কাপ, গোলমরিচ- ১টি, লবঙ্গ- ৪টি, চা পাতা- ২ চা চামচ, আদা গুঁড়া- ১ চা চামচ, আদা- মিহি করে কাটা কয়েক টুকরো।
প্রণালি:
এলাচের খোসা ফেলে ভেতরের দানা বের করে নিন। সব মশলা একসঙ্গে গুঁড়া করে নিন। প্যানে ৪ কাপ জল গরম করে চা পাতা দিন। গুঁড়া করে রাখা মশলা ও চিনি দিন। দুধ ও আদা গুঁড়া দিয়ে ফোটান। নামানোর আগে আদা কুচি দিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিন কয়েক মিনিট। পরিবেশন করুন গরম গরম।
চিত্রদেশ//এল//