আন্তর্জাতিকপ্রধান সংবাদ

এক কেন্দ্রে ট্রাম্পকে ‘বিপুল ব্যবধানে’ হারালেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। দুই-চারটি কেন্দ্রের ভোট গণনা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দুটি কেন্দ্রের ফলও জানা গেছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে ট্রাম্পকে হারিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। খবর এএফপির।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডিক্সভিলে নচ গ্রামের মানুষ সোমবার স্থানীয় সময় প্রথম প্রহরে ভোট দিয়েছেন। ৩ নভেম্বর প্রথম প্রহরে হেমলেট এলাকার বালসামস হোটেলের হেল হাউসে ডিক্সভিলে নচের ভোটাররা তাদের রায় জানিয়ে দেন।

তাৎক্ষণিকভাবে সেখানকার ভোটও গণনা করা হয়েছে। ফলও ঘোষিত হয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এ কেন্দ্রে পড়া ৫টি ভোটের সবই পেয়েছেন; ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাননি একটিও।

তবে এ কেন্দ্রের ফলের সঙ্গে সবসময় রাজ্যের কারা সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট পেতে যাচ্ছেন কিংবা কে হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তার আভাস পাওয়া যায় না।

২০১৬ সালের নির্বাচনে এ কেন্দ্রে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন জিতেছিলেন; নিউ হ্যাম্পশায়ারে সেবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন। যদিও অন্য রাজ্যগুলোর ভোট তাকে ঠিকই হোয়াইট হাউসে পৌঁছে দিয়েছিল।

এদিকে ডিক্সভিলে নচের কাছাকাছি মিলসফিল্ডেও মধ্যরাতের পর পরই ভোট হয়েছে। তবে সেখানে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। সেখানে কাস্ট হওয়া ২১ ভোটের মধ্যে ট্রাম্প বাইডেনকে ১৬-৫ ভোটে হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।

ঐতিহ্য অনুযায়ী ডিক্সভিল নচ নামের এলাকার ভোটাররা সোমবার মধ্যরাতে ভোট দিতে ব্যালসামস রিসোর্টে যান। আজ রাতের প্রথম প্রহরে একটি কক্ষে গিয়ে প্রত্যেকে ভোট দেন।

২০১০ সালের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ডিক্সভিল নচ ১২ বাসিন্দার একটি ছোট্ট শহর। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রের ফলাফল জানিয়ে দেয়া হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিনের প্রথম প্রহরে ভোট দেয়ার ঐতিহ্য রাজ্যের ডিক্সভিলে নচ, মিলসফিল্ড এবং হার্টস কমিউনিটির বাসিন্দাদের।

তবে একই ঐতিহ্য অনুসরণ করে আসা হার্টস কমিউনিটির বাসিন্দাদের এবার রাতের সময়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত রয়েছে। করোনার কারণে কেন্দ্রটির ৪৮ ভোটারকে এবার দিনের বেলায় ভোট দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।

 

 

চিত্রদেশ//এস//

 

Related Articles

Back to top button