ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে আরও ৪ মামলা
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা করেছে র্যাব।
একই আইনে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধেও পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার।
মামলার বিষয়ে মঙ্গলবার র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, এয়ারগান, বেশকিছু বিদেশি মদ, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে দুটি, দুটি করে মোট চারটি মামলা করবে।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর এক লেফটেন্যান্টকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমকে প্রধান আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলা হয়।
এরপর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চকবাজারের ২৬ দেবিদাস ঘাট হাজী সেলিমের ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’ নামক রাজসিক প্রাসাদে র্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট, র্যাব-৩ ও র্যাব-১০ এর সদস্যরা অভিযান চালায় ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়, অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, এয়ারগান, বেশকিছু বিদেশি মদ, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি।
সেখান থেকে গ্রেফতার হন হাজী সেলিমের আলোচিত পুত্র ইরফান সেলিম।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মো. জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
চিত্রদেশ//এফ//