অতিরিক্ত ভাড়া নিলে বাসের রুট পারমিট বাতিল
স্টাফ রিপোর্টার:
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর ১ জুলাই গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী কম উঠানোর শর্তে আগের ভাড়া থেকে ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে করোনাকালে ভাড়া নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপরও অনেক গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে বাসের রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (০৯ জুন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সরকার কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কতিপয় গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে মর্মে প্রচার হচ্ছে।
জাতীয় এক দৈনিকে প্রকাশিত খবর উদ্ধৃত করে নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যা সরকারি নির্দেশনা ও ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এমতাবস্থায় চিঠিতে যেসব গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর সংশ্লিষ্ট ধারা/প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিল করে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংবাদ বার বার বলে আসছেন, বাড়তি ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা য়ো হবে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (০৯ জুন) এক সম্মেলনে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া যারা আদায় করে তারা এই সংকটে গণদুশমন বলে পরিচিত হবে। তারা জনগণের কাছে গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে।
চিত্রদেশ//এস//