রাজনীতি

সম্মিলিত প্রয়াসে করোনাকে পরাজিত করব : কাদের

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসকে সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা হবে জানিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রয়াসে করোনাভাইরাসকে পরাজিত করব। করোনা যত বড়ই শত্রু হোক না কেন। আমরা এই ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারব বলে আশা করছি।

শুক্রবার (২০ মার্চ) আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কাদের এ কথা বলেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ ঝুঁকিতে আছে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি এখনো হয়নি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন, একজন মারা গেছে। তারপরও ঝুঁকিতে আছে।

কাদের বলেন, করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে একটি সমস্যা। চীন থেকে উৎপন্ন হয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাস থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব যে সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত আছি। আমরা বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রয়াসে করোনাভাইরাস যত বড়ই শত্রু হোক না কেন, আমরা এই ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারব।

ঢাকা-১০ আসনসহ সব উপ-নির্বাচন পেছাতে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিএনপির আবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা কখন কী বলেন, আর কখন কী করেন বোঝা মুশকিল। তারা সবকিছুতেই রাজনীতি খোঁজেন। কিন্তু উপ-নির্বাচনের বিষয়টি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তারা যদি নির্বাচন পেছাতে চায় এটা তাদের বিষয়। তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। ইসিকে আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করে না। তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে, তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। নির্বাচন পেছানোর জন্য আবেদন হয়েছে, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে কি-না তা আমি জানি না।

সরকার করোনাভাইরাসের মধ্যেও বিএনপির ওপর নির্যাতন বন্ধ করেনি বলে দলটির নেতাদের অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ওপর কীভাবে, কোন নির্যাতন করা হলো, তা তো দেখি না, তা তো জানি না। অযথাই অভিযোগ দেয়া তাদের পুরনো অভ্যাস। বিএনপি অভ্যাসের কারণে এই অভিযোগ করে থাকে।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি ছিলেন একজন বরেণ্য সাহসী রাজনীতিবিদ। যিনি স্বাধীনতার মহান যুদ্ধেও ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। দলের সংকটের সময় একজন সাহসী রাজনীতিবিদের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। দলের সংকটের সময় সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে দলকে পরিচালিত করেছেন। বিশেষ করে আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এটা অবিস্মরণীয়। দলের দুঃসময়ে, সংকটের সময় তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক। তখন তার বয়স ছিল অনেক বেশি। বয়স বেশি থাকার পরও সেই বয়সের বাধা অতিক্রম করে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন তিনি। জিল্লুর রহমান ছিলেন দলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button