অপরাধ ও আইনপ্রধান সংবাদ

রিমান্ড শেষে ফের কারাগারে ওসি প্রদীপ

স্টাফ রিপোর্টার:
কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপের চতুর্থ দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

চতুর্থ দফায় একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত ওসি প্রদীপকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে সোমবার দুপুরে প্রদীপকে রিমান্ডে নেয় র্যা ব।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাস। তিনি জানান, চতুর্থ দফায় একদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওসি প্রদীপকে আদালতে হাজির করে র্যা ব। বিকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তিনি আরও জানান, এর আগে প্রদীপকে তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে সোমবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যা ব অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রদীপের আরেক দফা রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে গত শুক্রবার তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যা ব। তাদের মধ্যে রোববার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন লিয়াকত। সোমবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন নন্দদুলাল।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

সিনহা হত্যা মামলার ১৩ আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন– টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য– এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস।

রিমান্ড শেষে এপিবিএনের তিন সদস্য কয়েক দিন আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা তিনজন জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন। ঘটনার সময় এপিবিএনের তিন সদস্য শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন।

চিত্রদেশ//এল//

Related Articles

Back to top button