এনজিও কর্ণার

বিডিএফ-এ ইফেকটিভ পার্টনারশিপ চাইবে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ফোরামের বৈঠকে (বিডিএফ) ইফেকটিভ পার্টনারশিপ চাইবে বাংলাদেশ। ২৯-৩০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এ বৈঠকের আয়োজন করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এবারের বৈঠকটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইআরডির সচিব মনোয়ার আহমেদ। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিডিএফের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

তিনি জানান, এবারের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের মূল স্লোগান হচ্ছে- ‘ইফেকটিভ পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনএ্যাবল ডেভলপমেন্ট’।

বৈঠকে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টঊইগ শেফার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব এই ফোরামে অংশগ্রহণ করবেন।

এছাড়া ৩০-৪০টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইআরডি সচিব জানান, এবারের বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হবে। কেননা তারা প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ডলার এদেশে ব্যয় করেন সরকারকে না জানিয়ে। যদিও তারা বলেন, এনজিও ব্যুরোকে জানিয়ে তারা এটা করেন। কিন্তু সরকারকে তো জানানো উচিৎ। এসব বিষয় নিয়ে কথা হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গার বিষয়ে মিয়ানমার চুক্তি করেছে যে, তাদের ফিরিয়ে নেবে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক আদালতে একটা রায়ও হয়েছে। যদিও রোহিঙ্গা আমাদের উন্নয়নের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, কিন্তু তারপরও এবারের বিডিএফ-এ এই ইস্যু রাখার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই মিউচ্যুয়ালি কাজ করতে। শর্তহীন চুক্তি থাকা দরকার।

বৈঠকের মূল অধিবেশনের প্রতিপাদ্য বিষয় হবে ইফেক্টটিভ পার্টনারশিপ ফর ইমপ্লেমেন্টটিং দ্যা অষ্টম ইয়ার প্ল্যান অ্যামিং টুওয়ার্ডস অ্যাসিভিং এসডিজিএস। এছাড়াও এই ফোরামে বিষয়বস্তুর ওপর আটটি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে- প্রাইভেট সেক্টর ইংগেজমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফ্যাসিলেটেশন, পার্টনারশিপ ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইস ফিনানসিং, ইনোভেটিভ ফিনানসিং ফর এ সেলফ-রিলায়েন্ট বাংলাদেশ, রুরাল ট্রান্সফরমেশন: ক্রিয়েটিং অপাচুনিটিজ ফর অল, হেলথ সার্ভিসেস: ইনক্লুসিভ ডেলিভারি অপশন, অ্যানার্জি সিকিউরিটি ফর সাসটেইএ্যাবল গ্রোথ, সাসটেইনএ্যাবল সিটিজ: সার্ভিসেস অ্যান্ড প্রটেকশন ফর দ্যা ভার্নারেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি ইডুকেশন ফর অল: প্রিপারেরিং ফর ফোরথ ইনডাস্ট্রিয়াল রিভলুশন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০২০ এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশ উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠিতে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশ এখন সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একইসঙ্গে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি অর্জনের জন্য বাংলাদেশ বদ্ধপরিকল। একইসঙ্গে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এরই পেক্ষিতে আসন্ন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামে এই সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। একই সঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার রূপরেখা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকারের পদক্ষেপগুলো তথা বিভিন্ন আর্থসামাজিক অগ্রাধিকার খাতে সরকারের মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা উন্নয়ন সহযোগীরা তথা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিকট তুলে ধরা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগে প্যারিস কনসোর্টিয়াম নামে এ বৈঠক হতো। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে প্যারিস ডিক্লারেশনে বলা হয় লিডার অ্যান্ড ওনারশিপ। তারপর তৈরি হয় লোকাল কন্সালটেটিভ গ্রুপ। সেখান থেকে পিআরএসপি ফোরাম এবং ২০১০ সালে গঠন করা হয় বিডিএফ।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এতদিন বিডিএফ’র ফলাফল মনিটরিং করা না হলেও এবারের বৈঠক থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।

 

চিত্রদেশ//এইচ//

Related Articles

Back to top button